X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

শরীরের ফাঁসি হলো, মনের বিচার শুরু হোক এবার

মাসুদা ভাট্টি
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:১০আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:২৩

Masuda-Vatti-Cমানবতাবিরোধী অপরাধের  দায়ে বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হবে কি না, এ নিয়ে সত্যি সত্যিই সন্ধিহান ছিলাম। বিশেষ করে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই যে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের জাল কেটে কেটে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালকে এগুতে হয়েছে, তাতে এই সন্দেহ যে মোটেও অমূলক ছিল না, তা নিশ্চয়ই সবাই অকপটে স্বীকার করবেন। এমনকি ফাঁসির রায় যখন দেওয়া হলো, তখনও অনেকেই বলেছেন, রায় হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটা কার্যকর করা সম্ভব হবে না। সত্যিই তো, স্কাইপে কেলেঙ্কারি কিংবা এই বিচারকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নাশকতার যে ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে এর বাইরে ভাবাটা সত্যিই সম্ভব ছিল না। কিন্তু সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে উচ্চ আদালতের এই রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে এবং একই সঙ্গে অভিযুক্তদ্বয় রাষ্ট্রপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা ভিক্ষা করে প্রমাণ করেছেন যে, আসলে তারা এই অপরাধের মূলনায়ক ও তারা অনুতপ্ত। কিন্তু একই সঙ্গে অভিযুক্তদ্বয়ের পরিবারের সদস্যরা বলতে চাইছেন যে, তারা ক্ষমা ভিক্ষা করেনি, তার মানে এই মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের পরিবারের জীবিত সদস্যরা আসলে মনে করছে যে, আদালত মিথ্যা, বিচার প্রক্রিয়া মিথ্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছেও তারা এই বক্তব্য পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে যে, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত। অর্থাৎ এই জীবিত সদস্যরা একটুও অনুতপ্ত নন এবং তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছে যে, তারা এই প্রতিশোধ নিতে বদ্ধ পরিকর। আর প্রতিশোধ কার বিরুদ্ধে, কিসের বিরুদ্ধে সেটা তো আর উল্লেখের অপেক্ষা রাখে না, তাই না?

তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? আমরা যদি বিষয়টিকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করি যে, এতদিন অর্থাৎ ৭৫-এর পর থেকে বাংলাদেশ যে পথ হারিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধকে যেখানে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল, সেই বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা আসলে নষ্ট হয়নি, চার চারজন চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার পরও এই পঁচাত্তর-পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধে অবিশ্বাসী গোষ্ঠীটির কোনও বোধোদয় হয়নি। সামাজিক গণমাধ্যমে যখন ‘জাস্টিস ফর চৌধুরী’ পাতা খোলা হয়েছিল, সেখানে অন্ততঃপক্ষে কয়েক লাখ মানুষ লাইক দিয়েছে, মন্তব্যও করেছে কয়েক হাজার। তাদের প্রত্যেকেই সরকার তথা শেখ হাসিনাকে যারপরনাই বিকৃত ভাষায় গালাগাল দিয়েছে এবং প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে। সাকা চৌধুরীর রাজনৈতিক দল বিএনপি তার এই ফাঁসির দণ্ডের  প্রতিক্রিয়ায় তাকে ‘একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ’ হিসেবে উল্লেখ করে এই বিচার কার্যকরের নিন্দা জানিয়েছে। বিএনপিও দলীয়ভাবে বলেছে যে, সাকা চৌধুরী ক্ষমা ভিক্ষা করতে পারেন না। দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনেকেই টকশো’য় এসে ইনিয়ে-বিনিয়ে, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সেই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যা বলে আসছিলেন, তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন। বলেছেন, সাকা চৌধুরী ন্যায্য বিচার পাননি, একজন মহিলা আইনজীবী একাত্তর টেলিভিশনে একে ক্যামেরা ট্রায়াল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং যথারীতি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাই ‘তবে, কিন্তু, যদি’ ইত্যাদি শব্দ দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেছেন। প্রতিটি টকশোয় একজন করে বিএনপি-জামায়াতপন্থীকে ধরে এনে বসিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়া যে সুষ্ঠু ছিল না, তা প্রচার করার সুযোগটি আমাদের মিডিয়াই করে দিয়েছে। সেজন্য নিশ্চয়ই আমাদের মিডিয়াকেও নিশ্চয়ই ‘নিরপেক্ষ মিডিয়ার’ তকমা উপহার দেওয়া জরুরি।

কিন্তু মূল যে প্রশ্নটি এখানে উল্লেখ করতে চাইছি, তাহলো, দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় পরে এ দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সংঘটিত হচ্ছে এবং একটি সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক মানের আদালত এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এই বিচারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের সাজা কার্যকর করা হচ্ছে, অর্থাৎ তাদের ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কার্যকর করার মাধ্যমে তাদের শরীরের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু তাদের মনস্তত্ত্ব এবং তাদের বংশধর, সমর্থক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মনস্তত্ত্বকে কী করে দেশের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ফিরিয়ে আনা যায় বা তাদের এই কলুষিত মনের বিচার কিভাবে করা যায়, সেটিই বোধকরি এখন মৌলিক প্রশ্ন হয়ে উঠবে। আগামী দিনে আমাদের সবাইকে মিলিতভাবে এই প্রশ্নটিকেই সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।

আমরা জানি যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে এদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের উত্থানপর্ব শুরু হয়। জেনারেল জিয়া তাদের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। তিনি একা যখন আর এই নেতৃত্ব দিয়ে পেরে উঠছিলেন না তখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে পাকিস্তান ও সৌদি আরব থেকে জামায়াত নেতাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতির সুযোগ করে দেন। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যে দেশে নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে তার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার পেছনে সেই লক্ষ্যটিই ছিল, যেটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা করেছিল, অর্থাৎ ইসলাম ও পাকিস্তানের অখণ্ডতা যে সমার্থক সেটিই তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমানও যা কিছু বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত তাকেই বিধর্মী বা ইসলামবিরোধী বলে উড়িয়ে দিয়ে এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে নির্বাসনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সেটা যেমন তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, তেমনি তার জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক দাবি করেননি তিনি, এ জন্য তাকে আমরা নিন্দা করতে পারি কিন্তু একই সঙ্গে তার প্রশংসাও করতে হয় এ কারণে যে, তিনি জানতেন, একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করলে কোনওটাই ঠিকমতো করা যাবে না; আর সে কারণেই তিনি তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টাকে ভুলেই গিয়েছিলেন এক প্রকার।  হাজার-হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী প্রমাণ করার এর চেয়ে বড় কোনও উদাহরণ হতে পারে না। অন্যদিকে, তার মৃত্যুর পর তার রাজনৈতিক দলটি যখন পুরোপুরি অস্তিত্ব ও পরিচয়ের সংকটে পড়ে তখন বদরুদ্দোজা চৌধুরী  অথবা মান্নান ভূঁইয়ার মতো চীনাপন্থী বামদের প্ররোচনায় মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় চেতনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। আসলে ততদিনে এদেশের মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও  মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে চেতনাবোধ কিছুটা হলেও ফিরে আসতে শুরু করেছিল এবং সে কারণেই বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটিকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ করার জন্যই ‘ঘোষকতত্ত্ব’-এর জন্ম দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে জামায়াত এ সবের ধার কোনওদিনই ধারেনি, তারা সোজা ও স্পষ্ট ভাষায় বলেছে বা বলতে চেয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ আবার কী জিনিস? ওটা ছিল পাকিস্তান ভাঙার আন্দোলন এবং তার নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগ মূলত কবিরা গুনাহ্ করেছে।’ একাত্তরের কর্মকাণ্ডের জন্য তারা কোনওদিনই ক্ষমা প্রার্থনা করেনি এবং দম্ভভরে বলেছে যে, এদেশে কোনও মানবতাবিরোধী অপরাধী বা যুদ্ধাপরাধী নেই।

ধরুন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি, বিএনপি-জামায়াতই ক্ষমতায় এসেছে আবার, কী দেখতে পান চোখ বন্ধ করে? এদেশে যে কোনওদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার কোনও চিহ্ন কি এই রাজনৈতিক জোট এদেশে রাখতে দিত? প্রশ্ন করুন একবার নিজেকে, আজকে যাদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে তারা তখন শক্তিশালী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হয়ে নিজেদের বিচার কি নিজেরাই  করত? নাকি  এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার কাজটিই তারা করতেন? এখনও যখন তাদের ছানাপোনারা দম্ভভরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে ‘আমার বাবাকে আপনারা চেনেন না? আমার বাবাকে তো আপনারা চেনেন, তিনি কি ক্ষমা চাওয়ার লোক?’ তখন কোনও সাংবাদিকের পাল্টা এ কথাটি বলার সাহস হয় না যে, ‘আপনার বাবাকে তো আমরা চিনি চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে, আপনি কি এর বাইরে আপনার বাবাকে কোনওভাবে চেনেন?’ আসলে সমস্যাটি এখানেই, মিথ্যা ও অহং-এর উত্তর দেওয়ার মতো মনের জোর এখনও এদেশে তৈরি হয়নি। বরং, এইসব মিথ্যাচারকে প্রচারের ব্যবস্থা করে দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে আমরা সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত। নিশ্চয়ই এখন এমন মানুষের অভাব হবে না, যারা সাকা-মুজাহিদের সন্তানদের বক্তব্যকে বিশ্বাস করেছেন এবং তারা মূলত, এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ মনে করেন। মোটকথা, এখনও কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তি এবং এই রাজনৈতিক শক্তি কোনও ভাবেই বিশ্বাস করে না যে, তারা যুদ্ধাপরাধী ছিল এবং এর দায়ে তাদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এখন চিন্তা করে দেখুন, যদি পাশার দান উল্টে যায়, যদি শেখ হাসিনা বা তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে যায়, তখন এই অবিশ্বাসকারীরা কী করবে? এবং তখন তাদের আমরা ঠেকাবো কোন মন্ত্রে? আমি মোটেও আশ্চর্য হবো না, যদি কোনওদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্য সম্পাদনের দায়ে শেখ হাসিনাকেই কোনওদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় এবং তখন তার পাশে কারা এসে দাঁড়াবেন আর কারা দাঁড়াবেন না তাদের পরিচয়ও এখনই বলে দেওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ একটি ভগ্নদশা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে, সেটা অর্থনৈতিক বলি কিংবা বলি মানবিক অর্থে—সব দিক দিয়েই ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশ একটি নতুন মাত্রা নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যদি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে সংযুক্ত করি, তাহলে বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। কিন্তু এই বিশ্বাস যে সর্বজনীন নয় সেকথা ইতোমধ্যেই বলেছি। এখন তাই যেকোনও মূল্যে দেশে-বিদেশে একটি ক্যাম্পেইন চালু করা প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে। এটা অবিলম্বে শুরু করা এ কারণেই প্রয়োজন যে, সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি যেকোনও সময় এবং ধীরে-ধীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বদলে যেতে পারে, এর প্রক্রিয়াও আমরা দেখতে পাচ্ছি চারদিকে। আমার ধারণা, মানবতাবিরোধী অপরাধীরেদ শারীরিক বিচার করলেই কেবল হবে না, তাদের রাজনীতি, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্বেরও বিচার করাটা জরুরি।  একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে রাজনীতি, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্বের নিরঙ্কুশ প্রচারণা ও সমর্থন আদায় অত্যন্ত জরুরি এই মুহূর্তে।

লেখক: কবি ও কলামিস্ট।

ইমেইল: [email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। বাংলা ট্রিবিউন-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য বাংলা ট্রিবিউন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মব সন্ত্রাস ছেড়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জামায়াতের
মব সন্ত্রাস ছেড়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জামায়াতের
‘মেসি ফুটবল খেলে খুশি’
‘মেসি ফুটবল খেলে খুশি’
রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
৯০তম জন্মদিনে আরও ৪০ বছর বাঁচতে চান দালাই লামা
৯০তম জন্মদিনে আরও ৪০ বছর বাঁচতে চান দালাই লামা
সর্বশেষসর্বাধিক