X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিরো টলারেন্সে ‘চাটন’

মুন্নী সাহা
১২ জুলাই ২০২১, ১৪:৫৪আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৭:২০

মুন্নী সাহা গাড়ি বহর ফলো করে প্রথম যে স্পটে নামতে হলো, তার নাম আধারা। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচরের একটা গ্রাম। রাস্তার ধারেই আশ্রয়ণ প্রকল্প। টিভি চ্যানেলে ঘণ্টার খবরে লাইভের তাড়া থাকে। চলমান ঘটনা হলে লাইভ। আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্নীতি-গাফিলতির ঘটনা, চলমান ঘটনা– তাৎক্ষণিক লাইভের মতো নয়। তবু বেলা ১২ টার বুলেটিনে লাইভে দাঁড়িয়ে প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেনকে প্রশ্ন করি– গত দু’তিন দিন ধরে টেলিভিশন-খবরের কাগজে যে ভাঙা ঘরদোরের ছবি দেখছি, সেটাতো এ আধারার নয়। শুরুতেই কেন নামলেন এখানে?

উত্তরে তিনি আমতা-আমতা করে জানালেন, ‘না মানে… ২/৩ সপ্তাহ আগে দৈনিক যুগান্তরে এখানকার একটা খবর গেছে যে ঘরের মেঝের মাটি সরে গেছে, দেয়াল ধসে পড়েছে, তাই প্রথমে এটাই দেখতে আসলাম। মিডিয়াও সাথে আছে…’ আমি শুধরে দিয়ে বললাম, জি, এটিএন নিউজ অবশ্য আপনার মিডিয়া বহরের সাথী নয়, আমরা নিজেদের মতো করেই সরেজমিন দেখতে এসেছি… আপনি উপস্থিত আছেন বলে আপনার কাছে জানতে চাওয়া!’ 

‘প্রধানমন্ত্রীর মানবিক প্রজেক্ট’–বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে ভূমিহীন মানুষদের নতুন ঘর উপহার দেওয়ার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২। ক্যামেরার সামনে সেই প্রকল্প পরিচালকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে দর্শক বুঝে নেয় দুর্নীতি বা গাফিলতির অভিযোগ পুরোটা মিথ্যা নয়। ‘মুখ বাঁচানো’র জন্য মুন্সীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, বরগুনার মাঠ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে ‘ওএসডি’ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালনা অফিসে বসেই মাহবুব হোসেন দুই দিন আগে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন, ‘মোট ঘরের মাত্র দশমিক দুই পাঁচ ভাগ নিয়ে গণমাধ্যমে তোলপাড়’।  

সম্ভবত সেই তোলপাড়ও সহ্য করা হবে না বলেই, কিছু নির্বাচিত মিডিয়াকর্মী নিয়ে জেলায় জেলায় ট্যুরে বেরিয়েছেন পিডি। এবং হটস্পট, মানে ঢাকার কাছে মুন্সীগঞ্জ দিয়েই শুরু। 

হটস্পটের সবচেয়ে বেশি ছবি শিলই গ্রামের। সেখানে না হয়ে, আধারায় কী দেখতে, কী দেখাতে চান… তা টিভি দর্শকরা দেখে নেন, মাহবুব হোসেনের বিব্রত মুখের আশপাশ দিয়ে। মার্শ ল্যান্ডে তড়িঘড়ি করে বালু ফেলে হয়তো ২ ফুট গাঁথুনি দিয়েই ঘর তুলে ফেলেছিলেন।

আশ্রয়ণের জন্য নির্ধারিত ডোবাটুকু যে ঘেরা দিতে হবে, তা না হলে জমাট বালু গড়িয়ে জলে যাবে… সেটুকুও ভাবেননি সেখানকার বাস্তবায়ন টিম। অর্থাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, সহকারী ভূমি কমিশনার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলে ৫ জন। এ পাঁচের ওপর দেখভাল- পরামর্শ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন- পুলিশ স্থানীয় এমপিরা তো প্রটোকল অনুযায়ী আছেনই। তবে সারা বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ঘরের, আধাখানা নিয়েও কোনও অভিযোগ থাকলে, তার দায়ভার প্রকল্প পরিচালকের। বিধি অনুযায়ী তাই-ই আছে। 

সরকারি কাগুজে নিয়মের বিধিবিধান অনুযায়ী, আশ্রয়ণের দেওয়া ঘরের দেয়াল ভাঙা, ভিটার মাটি সরে যাওয়া, ঘর ধসে পড়ার জন্য কোথায় কীভাবে কার কাছে জবাবদিহি করেছেন, প্রজেক্টের ‘সুপার বস’– তা এখনও মিডিয়ার কানে ওঠেনি। তবে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’, ‘প্রধানমন্ত্রীর ইমোশনাল প্রজেক্ট’, ‘মাত্র .২৫ ভাগ নিয়ে আপত্তি’ এসব বাক্যাংশ দিয়ে কিছু দুর্নীতি, কিছু গাফিলতি, কিছু নেতৃত্বের দুর্বলতা চাপাতে চাইছিলেন ক্যামেরার সামনে। ওদিকে পাশের ছবি তো মেরামত করেই রাখা হয়েছে…। বস আসবেন বলে বালির বাঁধে বাঁশ পলিথিন দিয়ে রিং ওয়াল তৈরি করা হয়েছে। ভাঙা দেয়াল, ঘরের মেঝে দ্রুততার সাথে সরিয়ে, বিশাল কর্মযজ্ঞে লোকজনদের মনোনিবেশ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ছবি থেকে আমাদের মতো বোকা সাংবাদিক বা বোকা দর্শকদের বুঝতে কিছুই অসুবিধা হয় না যে কেন আধারায়ই প্রথম ল্যান্ডক্রুজার থেকে প্রকল্প পরিচালক ‘ল্যান্ড’ করলেন। 

সারি সারি ঘরের মেঝের বালি সরে গিয়ে নড়বড়ে দেয়াল। সেগুলোর কিছু আবার নতুন করে বানানো হচ্ছে, ভেতরে রড দিয়ে। যদিও ঘরপ্রতি ১ লাখ ৭২ হাজার টাকার বাজেটে, রড দেওয়ার কথা নেই। কেন নতুন করে দেয়াল সব ভেঙেচুরে আবারও তুলতে হলো, নতুন বাজেটই বা এলো কোত্থেকে? রডের বাড়তি খরচটা তাহলে কে দিলো? এসব অবান্তর প্রশ্ন করতে মানা। পিডিও বলবেন না, বরং তিনি বারবার সাফাই গাইছিলেন, মাত্র ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকায় ঘর হয়?

আমাদের ইয়াং অফিসাররা তাদের ক্যারিশমা দিয়ে বরং এমন অসাধ্য সাধন করেছেন… এতে দু’-একটু ভুল ভ্রান্তি। সেটা মিডিয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে ফলাও করছে, যেন হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপ করেছে!

আসলেই হাজার কোটি টাকা তছরুপের সুযোগ নেই। প্রায় পৌনে দুই শতাংশ জায়গায় ৫০০ স্কয়ার ফিটের একটা টিনের চালের পাকা ঘর তুলতে গেলে, বাজার মূল্যে সাড়ে ৬ হাজার ইট, ৪ বান্ডেল টিন, লোহার গ্রিল, চালের টুয়া, কাঠ, সিমেন্ট, রঙ, পেরেক, দরজা-জানালা, সবকিছু হিসাব করলে ‘ভুতুড়ে’ মনে হবে। তার ওপর মিস্ত্রি, জোগালির খরচ! মাটি ভরাট, খাস জায়গা পরিষ্কার– আরও তো নানান ফ্যাক্টর পড়েই আছে। এত সব যদি ১ লক্ষ ৭২ হাজারের বিপরীতে হিসাব করি, তাহলে ফলাফল ‘বিস্ময়’ ছাড়া আর কিছুই দাঁড়ায় না। তবে বিশ্বকে চমকে দিয়ে, আসলেই মধ্যস্বত্বভোগী ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে ১ লক্ষ ঘরতো দাঁড়িয়ে গেছে, এবং সেগুলোতে গৃহহীনরা বসবাসও শুরু করেছেন। কয়টায় কত হাজার কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে, বা হতে পারার মতো বাজেট আছে, তা যে কেউ একটু মাথা ঘামালে বুঝতে পারবে। 

পরিকল্পনার সময় টানটান বাজেট রাখা মানে অপচয়- দুর্নীতির গোড়ায় জল না ঢালা। সে কারণেই বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা, অনন্য- মানবিক সরকারি উদ্যোগ হিসেবে আওয়াজ পেয়েছে, ‘এই মুজিববর্ষের গৃহহীনদের ঘর’। আর এরইমধ্যে, এখান থেকে তছরুপ, এখানে সামান্য গাফিলতির হাতেনাতে উদাহরণ পেয়ে কড়া অ্যাকশনে সরকার। 

হটস্পট মুন্সীগঞ্জের ওএসডি হওয়া ইউএনও, সহকারী ভূমি অফিসারের কথা উদ্ধৃতি দিয়ে বারবারই মাহবুব হোসেন ক্যামরার সামনে বলছিলেন, ‘জিরো টলারেন্স, জিরো টলারেন্স…’। 

সাবেক ইউএনও, রুবাইয়াৎ হাসান শিপলুকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জের এই পক্ষের আওয়ামী লীগ আর ওই পক্ষের আওয়ামী লীগের একটা কমন গল্প। সামান্য থেকেও পয়সা বাঁচিয়ে পকেটস্থ করার এক বাচ্চার ‘চাটন’ গল্প।

‘মানে বাচ্চাটা খুব এক্সপার্ট। ১ টাকা হাতে দিয়ে ১ টাকা দামের একটা জিনিসের জন্যও বাজারে পাঠালে, সে কোনও না কোনোভাবে ১০ পয়সা/৫ পয়সা মারবেই। তো সেই এক্সপার্টকে ওর মুনিব চারআনা পয়সা দিয়ে বলেছে, যা একটা লজেন্স আন, দেখি কেমনে লজেন্স থেকে লাভ করিস! 

লজেন্সটা এনেও খুশি মনে মনিবের হাতে দিয়ে বলে, এখান থেকেও লাভ করছি। বিস্মিত মনিব! চার আনার কম তো নেয় নাই, লজেন্সও ঠিক আছে। তাইলে কীভাবে? স্মার্ট বাচ্চাটির উত্তর, ‘ক্যান, একটু চাটন দিয়া খাইয়া লইছি!’’

গল্পের ‘চাটন’দার বাচ্চাটিকে রিওয়ার্ড দেওয়ার কথা গল্পেই আছে। তার মতোই, রুবায়েত হাসান শিপলুর বদলি হয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে, সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আছে। 

এ অভিযোগের ‘লাইক-শেয়ারে’র মাথা গুনলে দেখা যায়, বর্তমান দলের সমর্থক লীগার, বুদ্ধিজীবী, এমপি প্রার্থীরাই বেশি। ফলে সেইম সাইডের এ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করাটা জায়েজ এবং নিরাপদ।

দুর্নীতি ডিফেন্ড করবেন? এমন প্রশ্ন প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেনের প্রতি। এবার তিনি একটু বোঝানোর ভঙ্গিতে আবারও ঘরপ্রতি বরাদ্দ ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। ল্যান্ড ফিলিংয়ে বরাদ্দ নেই, ইত্যাদি রিপিট করেন। 

তার উত্তরে নিশ্চয়ই কারও না কারও গাফিলতি তো স্পষ্ট হয়ই! তবে ধারণা স্পষ্টকরণে সাক্ষী লাগে। বরাবর এ ধরনের কথাবার্তারও সত্যতা পোক্ততা খুঁজতে হয়।

জনগণ, এলাকাবাসী সাধারণ মানুষ বলে আমাদের, মানে সংবাদকর্মীদের সবচেয়ে বড় একদল ঢাল আছে। মুন্সীগঞ্জের আধারা আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘিরে অনেক উৎসুক মানুষের মাঝে একজনও ‘জনগণ’ পাওয়া গেলো না। তার মানে কেউ কিছু বলবেন না ক্যামেরায়। বালির ওপর কয় ইঞ্চি গাঁথনি, সিমেন্ট খসে পড়ছে কিনা এসব আমাকেই ধরে দেখতে বললেন, কোনও রিকশাচালক বা ধান কাটার বদলি কামলা। আমি বললাম, তাইলে ক্যামেরায় বলেন...। উত্তরে জানান, ‘কী কমু, কন্টেকটাররা যেমনে কাজ করছে, হেমুনি হইছে।’ 

প্রজেক্টে কন্ডাকটর নেই। খরচ কমানোর জন্য। বাস্তবায়ন টিমই, রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘরগুলো করবেন। লক্ষাধিক ঘর সেভাবেই হয়েছে, তেমন অভিযোগ নেই। তবে কেন মুন্সীগঞ্জে,  সিরাজগঞ্জে, জামালপুর বা বরগুনায় এসব হলো? 

কথা বলতে নারাজ আমজনতা সব জেলার খবর রাখেন না, তবে মুন্সীগঞ্জেরটা জানেন। তলে তলে আওয়ামী লীগ- আওয়ামী লীগ রেষারেষি। আর আগের ইউএনও’র কথা তো সবাই জানেন।

আধারা আর শিলইতে দুই চেয়ারম্যানই ঠিকাদারের কাজ করেছে। উপরের মহল কেন এটা জানে না? 

উপরের মহল বলতে প্রকল্প পরিচালকের দিকে দেখিয়ে বললেন। পিডি মাহবুব হোসেন তখন, ঢাকা থেকে তার বহরের সঙ্গে যাওয়া সাংবাদিকদের ক্যামেরা-মাইক্রোফোনে কথা বলছিলেন। বলছিলেন, প্রজেক্ট দেখতে সারা দেশে তিনি ঘুরে বেড়াবেন, সে কথাও। 

আশ্রয়ণ ভেঙে পড়ার হটস্পট আরেকটা, গজারিয়া। বালুয়াকান্দির বড় রায়পাড়া গ্রাম। ঢাকা থেকে কাছে, মুন্সীগঞ্জ থেকে বেশ ঘুরপথ। সদ্য আসা জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুলের গাড়ি ছুটছিল ওদিকে। তিনি তদন্ত টিমের সদস্য হিসেবে যাচ্ছিলেন। তাকে ফলো করে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই পড়ন্ত বেলায়। এটিএন নিউজে রসুল মিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া ঘরটির ভাঙা অংশটি খুঁজে পাওয়া গেলো না। সদ্য মেরামত করা কাঁচা-পাকা মিশেলের দাগ দেখিয়ে সেখানকার নির্বাহী কর্মকর্তাই জানালেন, এখানে ভেঙেছিল... আমরা পরের দিনই ঠিক করেছি। বাকি কোথায় কী কী ঝামেলা আছে, আপনারা নিজেরা দেখুন। টিভির আর্কাইভের ফুটেজ মিলিয়ে দেখি, বড় রায়পাড়ার ওইটুকুই ছবি। রসুল মিয়ার ঘরের সামনের বারান্দার। গজারিয়ার বড় রায়পাড়ার মোট ২৬টি ঘর,  ঘটা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীই ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে, ভূমিহীনদের হাতে দলিল তুলে দিয়েছেন। তবে সবাই এখনও বসবাস শুরু করেননি। কয়েকটা ঘরের বাসিন্দারা থাকছেন, ঘর গোছাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সোনা মিয়া এবং শিল্পী রানীর কাছে আলাদা করে জানতে চাই, আপনাদের এখানে কি অনেকগুলা ঘরের রোয়াক ভেঙেছে? রাত্রে রাত্রে ঠিক করছে সরকারি লোকেরা? 

এমন কুটিল প্রশ্ন জন্মেও শোনেনি মনে হয় তারা। মুখে একগাল প্রশান্তির হাসি দিয়ে বললেন, “কী কন! সুরুজ মিয়া ঘরে ওঠে নাই, যেদিন রাইত দিন বৃষ্টি হইলো, সেদিন বৃষ্টির পানিটা সরতে সরতে কোনাটার বালু সরছে। দেখেন, আমরা কি সোন্দর কইরা ড্রেন কাইটা দিসি, পানি যায়গা... 

ঘর দিছে সরকারে, জমিটা দিছে। পানির পাম্প লাগতাছে, কারেন্ট আছে, আর দেখেন কী সোন্দর জাগা। নদীটার পাড়। আমগো ককসোবাজার...।” 

সোনা মিয়া রঙমিস্ত্রি। তার দাবি, নতুন ঘরে, বালিতে, পানি দিতে হয়।  যারা ঘর পাইছে, তারা যত্ন করলে, ঘর ঢইল্লা পড়বো না। 

গজারিয়ার বড় রায়পাড়ার স্টেডিয়াম, ইউনিয়ন পরিষদের লাগোয়া, মেঘনা নদী ঢেউ লাগা উঁচু খাস জমিটায় নজর ছিল স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রনেতা, যুবনেতা, চেয়ারম্যান, শিল্পপতি অনেক মহলের। খানিকটা দখল করা জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের, ‘উপ-পাতি’ কমিটির অফিস হিসেবে সাইন বোর্ডও লাগানো ছিল। সেসব সরিয়ে এখন সেখানে গরিবের কক্সবাজারের মতো রিসোর্ট। এখানেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা ঘর দিয়েছেন ভূমিহীন-গৃহহীনদের।

সে ছবিটা আমাদের কাছে ছিল না, বরং ছিল টানা বৃষ্টিতে ধসে যাওয়া একটা কোনার ছবি। বড় রায়পাড়া আশ্রয়ণের বাসিন্দারাই জানালেন, ‘এ ছবিও তুইল্যা নিছে আম্লিগের (আওয়ামী লীগ) লোক’।

লেখক: প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ

 

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হিজবুল্লাহর ৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরায়েলের
হিজবুল্লাহর ৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরায়েলের
কমিটিতে পদ পেতে জীবনবৃত্তান্ত জমায় ফি নেওয়া যাবে না
কমিটিতে পদ পেতে জীবনবৃত্তান্ত জমায় ফি নেওয়া যাবে না
প্রতারণার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
প্রতারণার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
রেমিট্যান্স প্রেরকদের জন্য আরও সুবিধা চায় সংসদীয় কমিটি
রেমিট্যান্স প্রেরকদের জন্য আরও সুবিধা চায় সংসদীয় কমিটি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ