X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়

সুলতান মাহমুদ
০৪ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৬আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৬

একবিংশ শতাব্দী বিজ্ঞানের উৎকর্ষকাল। বিংশ শতাব্দী ছিল বৈজ্ঞানিক ফরমুলার প্রারম্ভকাল। প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল বাষ্পীয় ইঞ্জিন ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে, দ্বিতীয়টি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে গণ-উৎপাদন এবং ইলেকট্রনিকস আর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর তৃতীয় শিল্পবিপ্লব।

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কোভিড-১৯ পরবর্তী উন্নত বিশ্বে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ বা 4IR শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহের দরজায়ও কড়া নাড়ছে 4IR। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও অটোমেশন, বায়োটেকনোলজি, ইন্টারনেট অব থিংস, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি, শক্তি সঞ্চয় কিংবা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিগ ডাটা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অব থিংস, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, থ্রিডি প্রিন্টিং, ব্লকচেইন, স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রযুক্তির যুগান্তকারী ব্যবহার হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে।

আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আলিফ লায়লা’ এর কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়। ধারাবাহিকটির যে সকল দৃশ্য মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল যেমন শূন্যে উড়া, দূর দর্শন এবং দূরালাপনি, ইত্যাদি যা প্রায় সবই এখন আমরা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি এবং বিজ্ঞানের উন্নতির কল্যাণে উপভোগ করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের মৌলিক চারটি ভিত্তি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি।  বিগত কয়েক বছর ধরেই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব’ নিয়ে বেশ ব্যাপক পরিসরে আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশে। এখন প্রশ্ন হলো দেশটি কি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বাধিক সুবিধা নিতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত অথবা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা কার্যকর? 

বর্তমান বিশ্বে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি এবং দেশটির একশতটিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি পড়ানোর বিষয়টি বেশ আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞান বা এই জাতীয় বিভাগগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বাদে অন্যান্য বিষয়ে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা এখনও অনেকটাই অবহেলিত যা এখনও শুধু অফিস অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।     

বাংলাদেশের মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতির সুষ্ঠু বিকাশে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, ১৩২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৫তম (ভারত ৯১তম, ভুটান ৮৯) স্থান করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, এবং প্রযুক্তি উন্নয়নসহ সাতটি বিষয় বিবেচনা করে ১০০ এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৩৬.১ যা বিগত বছর ছিল ৩৮.১।

গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন (১০০-এর মধ্যে ১৯.৯৮ যা বিগত বছর ছিল ১৯.২০) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (১০০-এর মধ্যে ২৯.৬৩ যা বিগত বছর ছিল ২৮.৩) খাতের পরে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ১০০-এর মধ্যে ৩৫.৮৭ (যা বিগত বছর ছিল ৩৬.৩) স্কোর করে সবচেয়ে নিম্নে অবস্থান করছে।

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) এবং মানব উন্নয়ন সূচক ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, উদ্ভাবনের দিক দিয়ে ১৩২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২তম (ভারত ৪০তম, শ্রীলংকা ৮৫তম) এবং মানব উন্নয়নে ১৯১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৯তম (শ্রীলংকা ৭৩তম, মালদ্বীপ ৯০তম, ভুটান ১২৭ তম, ভারত ১৩২ তম) স্থান করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যথাক্রমে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।

২০২২ সালের মানব পুঁজি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৬তম (শ্রীলংকা ৭২তম, নেপাল ১০২তম, ভারত ১১৫ তম) স্থান করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশের সমাজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান - বিআইএসআর ট্রাস্ট - বিভিন্ন গবেষণায় উল্লেখ করে যে, শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে, বিশেষ করে সফট স্কিলস অর্জনের ক্ষেত্রে। 

ইউকে ভিত্তিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি-এর তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ কোটি মানুষ তাদের বর্তমান চাকরিই হারিয়ে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট চাকরিজীবী মানুষদের মধ্যে প্রায় ৩৮-৪৭%, যুক্তরাজ্যে ৩০%, জাপানে ২১% এবং জার্মানির ৩৫% লোকের চাকরি হারাবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এবং ‘স্মার্ট অটোমেশন’ নির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে । স্বভাবতই শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশগুলো সব থেকে বেশি বিপদে পড়তে পারে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেহেতু শ্রমনির্ভর, এক্ষেত্রে দেশটির একটা বড় অংশ চাকরি হারাতে পারে বিশেষ করে পোশাক শিল্পে (৬০%), প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য খাতে (৪০%), আসবাবপত্র শিল্পে (৫৫%), চামড়া ও জুতা শিল্পে (৩৫%), এবং পর্যটন ও সেবা শিল্পে (২০%) ইত্যাদি।  

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শুধু যে মানুষ চাকরি হারাবে তা নয় বরং নতুন করে ১০০ কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সুবিধা নিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পরামর্শ হলো প্রতিটা দেশের কর্মক্ষম জনবলকে সৃজনশীলতা, জটিল সমস্যা সমাধানে পারদর্শীতা, বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গি,  আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা  ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, জনব্যবস্থাপনা, অন্তর্দৃষ্টি, অন্যদের সঙ্গে কাজের সমন্বয়, দর-কষাকষি, সেবা প্রদানের মানসিকতা এবং চিন্তার স্বচ্ছতা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

এসসিআইমাগো ইনস্টিটিউশনস র‍্যাংকিংয়ের প্রতিবেদন ২০২২ অনুসারে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশে গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ১৯ ধাপ এগিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে, সরকারের উচিত গবেষণা ও উদ্ভাবনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা যদিও গবেষণার জন্য বরাদ্দ (২০২২-২৩ অর্থবছরের মোট বাজেটের ১%-এর ও কম) এখনও নগণ্য অবস্থানে রয়েছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের অগ্রসরমান উন্নত এবং দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলো শুধু গবেষণায় ব্যয় করছে মোট জিডিপির ১ থেকে ৩ শতাংশের বেশি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তারও বেশি ব্যয় করছে। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অরগেনাইজেশনের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৯ অনুযায়ী, গবেষণায় বিনিয়োগে জিডিপি-এর অনুপাতে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে ইসরায়েল তাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, সুইজারল্যান্ড ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সুইডেন ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, এবং জাপান ৩ দশমিক ২০ শতাংশ ব্যয় করে। বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষাখাতে বাংলাদেশ তার মোট জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ বরাদ্দ দিচ্ছে যা নেপালের বরাদ্দ থেকেও কম।

টেকনোলজি ভিত্তিক শিল্পায়নের নিমিত্তে, বর্তমানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করে ব্যক্তি পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে।

শিক্ষা নিয়ে যে গবেষণার দরকার রয়েছে, বিশেষ করে পাঠক্রম নিয়ে তার সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এত বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নাই। শুরুটা হয় মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে ২০০১ সালে। দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৮ সালে। সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে পরে প্রাথমিক স্তরেও চালু করা হয় ২০১২ সালে। প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে এবং  জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সংক্ষেপে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়  ২০১০ সালে। আবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সংশোধিত পাঠ্যক্রম অনুসারে ২০২৩ সাল থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ হয়েছে। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ধাপে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম এবং নবম শ্রেণি। ২০২৫ সালে তৃতীয় ধাপে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে এবং ওই বছর থেকে পুরোপুরি নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করতে হবে। এরপর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে একাদশ শ্রেণিতে শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা) পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে। নতুন পাঠক্রম নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। 

শিক্ষার মান উন্নত করতে প্রয়োজন মেধাবী শিক্ষক, মানসম্পন্ন বইপত্র, শিক্ষা উপকরণ, গ্রন্থাগার, শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম যেমন খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ইত্যাদি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা নিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার (কম্পিউটার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা) পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার ভিত্তি গড়ে না উঠলে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করে রাষ্ট্র-উন্নয়নে দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। বিআইএসআর ট্রাস্টের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের দেশের শিক্ষার অন্যতম বড় সীমাবদ্ধতা হলো চাহিদা ভিত্তিক পাঠক্রমের অভাব।

শিল্পের ও সেবার সাথে উচ্চশিক্ষার সব স্তরের শিক্ষার্থীর সংযোগ বাড়াতে প্রয়োজনে শিক্ষানবিশী কার্যক্রম বাধ্যতামূলক  করা যেতে পারে। এতে করে, শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের কার্যক্রম এবং পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা হাতেকলমে অর্জন করার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে, সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যেহেতু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চালকের আসনে থাকতে পারে ব্যক্তিখাত, তাই শিক্ষাখাতে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষাখাতে, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বাড়াতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বাধিক সুবিধা নিতে আর কী কী করা যেতে পারে সেসকল বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা করা যেতে পারে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের কঠোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

লেখক: গবেষক, অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ ট্রাস্ট।

Email: [email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ