X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসের ব্যাকরণ

আহসান কবির
২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:১৭আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:১৯

আহসান কবির মানুষের পক্ষে নাকি মানুষ হত্যা করা সম্ভব না। পৃথিবীর ইতিহাস তবুও মানুষ হত্যার। কোনও ধর্মই নাকি খারাপ না, তবুও ধর্মের দোহাই দিয়ে এই পৃথিবীতে মানুষ হত্যার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ধর্মের নামে যারা হত্যা করে তাদের সমর্থনেও বহু মানুষ দাঁড়িয়ে যায়! যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে আবার নিজেরাও মরে যায় তারা নাকি ধর্মের পথের শহীদ! বিধাতার অনুপস্থিতিতে মানুষই সিদ্ধান্ত নেয় কে শহীদ হবে আর কে হবে খুন! পৃথিবীর অনেক কিছু নাকি বদলায় কিন্তু সন্ত্রাসের ব্যাকরণ আর সন্ত্রাসের ধর্ম কখনও বদলায় না!
পাঠ্যবইতে থাকা একটা বিদেশি গল্পের জন্য বাংলাদেশের একটা প্রজন্মের কাছে মজার প্রবাদ ছিল-সাইজ ড’ন্ট ম্যাটার,অনলি চপিং উড ( গল্পটার নাম এ মাদার ইন ম্যানভিল । মার্জরি কিনান রলিংস’র লেখা। অর্থ এমন যে বয়স বা উচ্চতা কিংবা ছোট হওয়া আসল ব্যাপার না। কাজটা করতে পারাই আসল ব্যাপার)।
শ্রীলঙ্কাতেও এখন এই কথাটা আলোচিত হচ্ছে,সবকিছু সন্দেহ আর রহস্যের চোখে দেখা হচ্ছে। ‘এনটিজে’ বা ‘ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত’ (জামাত আল তৌহিদ আল ওয়াতানিয়া)-এর মতো ছোট্ট ও নামহীন সংগঠন কি শ্রীলঙ্কাতে এমন হামলা চালাতে পারে, নাকি এর পেছনে অন্য কারও হাত আছে? কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করলেও এনটিজের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কবে থেকে এবং কতটুকু? দেশ-বিদেশের সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ কবে থেকে শুরু এবং কতটা? এনটিজের পক্ষে কি আদৌ এই হামলা চালানো সম্ভব?

উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ। এনটিজে হামলা চালিয়েছে এটাই সত্য। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পর ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাটাকুড্ডি নামের ছোট্ট শহরতলিতে এনটিজে গঠিত হয়। ২০১৮ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত এরা ছিল যে কোনও ধরনের আলোচনার বাইরে। প্রথম থেকে যারা এনটিজে’র সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের পরিচয় ছিল ইসলাম ধর্মপ্রচারক জাহরান হাশিমের শিষ্য বা মুরিদ। এই মুরিদ বা এনটিজে’র সদস্যরা প্রথম আলোচনায় আসে শ্রীলঙ্কার কয়েকটি শহরে, বিশেষ করে মারওয়ানেনা শহরে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি ভাঙচুর করার মধ্য দিয়ে। যদিও শ্রীলঙ্কায় জাতিগোষ্ঠী নিয়ে বিবাদ ও হিংসাবিদ্বেষ ছিল কিন্তু ঠিক এমনটি ছিল না।

যারা হিন্দু পুরাণ পড়েছেন তারা বিলক্ষণ জানেন, পুরাণের লঙ্কা আর আজকের শ্রীলঙ্কার অতীত কাহিনি। রামায়নে রাবণকে অনেকটা ভিলেনের চোখে দেখা হলেও (অনেকটা মেঘনাদবধ কাব্যের মতো) শ্রীলঙ্কায় রাবণই নায়ক। ভারতীয় মহাসাগরের দীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় (ভারত-শ্রীলঙ্কার যোগাযোগের ক্ষেত্রে পাকপ্রণালি খ্যাত সমুদ্রপথ যেখানে নাকি একদা বানররা রামের নাম লেখা পাথর ব্যবহার করে ব্রিজ বানিয়েছিল, যার ওপর দিয়ে সৈন্যরা যুদ্ধযাত্রা এবং সীতাকে উদ্ধার করেছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সেতুর তিনটি নাম। প্রথমটি রাম সেতু, দ্বিতীয়টি আদম সেতু আর তৃতীয়টি সমুদ্র সেতু। কেউ কেউ বলেন এটি মনুষ্যনির্মিত সেতু ছিল, যেটা ১৫৫০ সালের পরে ঝড় ও বিবিধ কারণে ধ্বংস হয়) বৌদ্ধদের আগমন মূলত সম্রাট অশোকের সময়ে।

এরপর বহুদিন গেছে আর সিংহলিজ ও তামিলদের মধ্যে (বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ৭১ ভাগ) দূরত্ব বেড়েছে। শ্রীলঙ্কায় মূলত সিংহলিজ ও তামিল এই দুই ধরনের মানুষের আদি আবাস ছিল। আবার সারা বিশ্বের মুসলমান ও খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন স্বর্গ থেকে পতনের পরে আদম প্রথম শ্রীলঙ্কার একটা পাহাড়ে পা রেখেছিলেন, যেটা ‘আদমস পিক’ নামেই পরিচিত। আবার গোড়া বৌদ্ধদের কেউ কেউ দাবি করেন, এটি আসলে গৌতম বুদ্ধের পদছাপ। অবশ্য এই পায়ের ছাপ বিশাল, ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। আদৌ এটা কোনও মানুষের কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে! তামিলনাড়ুর বহু হিন্দু বিশ্বাস করেন, পদছাপটি আসলে দেবতা শিবের। বিশ্বাসের দিক দিয়ে পুরো শ্রীলঙ্কাতে একটা গোলমেলে ভাব আছে। তারপরও হিন্দু,খ্রিস্টান আর মুসলিমরা শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু, যেখানে হিন্দু-মুসলমান বা খ্রিস্টান-মুসলমানদের ভেতর সংঘাতের তেমন কোনও গল্প ছিল না,যা আমরা দেখি বা শুনি সেই গল্প কয়েক দশকের বেশি পুরনো নয়। উল্টো গৃহযুদ্ধ চলাকালীন মুসলমানরা সবসময়েই তামিলদের বিরোধী ছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ তামিলরা হিন্দু ধর্মের অনুসারী।

শ্রীলঙ্কা বহুদিন পর্তুগিজ ও ডাচদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সর্বশেষ ১৫০ বছর ছিল ব্রিটিশদের অধীন। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পঁচিশ বছর পর ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র  শ্রীলঙ্কার ভেতর তামিলরা আরেকটি দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। তামিল গেরিলাদের ভয়াবহতা এখনও নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে। গির্জায় বোমা মেরে মানুষ হত্যা শুরু তামিলদের হাতে। শ্রীলঙ্কার ভারত বিরোধিতার শুরু শত শত বছর আগে। তামিলদের বিদ্রোহ এবং গৃহযুদ্ধ সেটা আরও উসকে দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে শতবার এই অভিযোগ করা হয়েছে যে তামিলদের বিদ্রোহের পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে ভারত আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এক চুক্তি হয় এবং নিরাপত্তা ও বিদ্রোহ দমনের নামে ৫০ হাজারের বেশি ভারতীয় সৈন্য ঢোকে শ্রীলঙ্কায়। এর বিরোধিতা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রানাসিংহে প্রেমাদাসা। ১৯৯৩ সালে তিনি নিহত হন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে তামিলরা ছিল বড় বাধা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তামিলরাই। আবার গোড়া বৌদ্ধদের হাতে খুন হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি সুলেমান বন্দর নায়েক। তার কন্যা চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও আহত হয়েছিলেন এবং ধারণা করা হয় এই হামলা চালিয়েছিল তামিল গেরিলারা। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের অবসান হলেও ভারতের সঙ্গে বৈরিতা আজও কমেনি। তামিলদের নেতা ভিলুপিল্লাই প্রভাকরণের নৃশংস মৃত্যু নিয়ে সারা পৃথিবীতে যেমন সমালোচনা ছিল ঠিক তেমনি শ্রীলঙ্কাতে তামিল বিদ্রোহ দমন ও প্রভাকরণের মৃত্যুর কারণে রাজাপাকসে ছিলেন সিংহলিজদের কাছে নায়ক। ভারতও তামিল টাইগার নেতা প্রভাকরণ ও তার কয়েক অনুসারীর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। রাজাপাকসে তাই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হন এবং  ৯৯ বছরের জন্য হাম্বানটোটা বন্দর লিজ দেওয়া হয় চীনের কাছে। গত চার দশকের চীন আর ভারতের দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা যখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে হাঁটেন, তখন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে হয়ে ওঠেন তার বিরোধী এবং তার ভালোবাসা চলে যায় চীনের দিকে। সিএনএন,বিবিসি এবং এএফপিসহ অনেক সংবাদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, ভারত ও চীনের দ্বন্দ্বের বলি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের দুর্বলতার মাঝখানে এনটিজে’র দিকে নজর দিতে পারেনি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী। ফলাফল প্রায় ২৫০ জন মানুষের প্রাণহানি, যার ভেতরে ৫০ জনই শিশু এবং ৩৫ জন বিদেশি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভেতর নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয় ছিল না,ছিল না বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরেও নিরাপত্তাজনিত সমন্বয়। শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান,স্বরাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেও নিহতরা ফিরবে না কখনও এবং বোমা হামলা ঘটনার স্থায়ী ক্ষত হয়ে থেকে যাবে শ্রীলঙ্কাবাসীর হৃদয়ে।

শেষমেশ জায়াত আল তৌহিদ আল ওয়াতানিয়া প্রসঙ্গ। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আছে তোমারে বধিবে যে গোকূলে বাড়িছে সে। আফগানিস্তানে বৌদ্ধমূর্তি ভেঙেছিল তালেবানরা। আর শ্রীলঙ্কাতে ভাঙা হচ্ছিল বৌদ্ধমূর্তি। জাহরান হাশিমের অনুসারী যারা বৌদ্ধমূর্তি ভাঙছিল তাদের কেউ কী রাম বা আদম সেতু পার হয়ে গিয়েছিল ভারতের তামিলনাড়ুতে? অথবা কেউ কি তামিলনাড়ু থেকে এসেছিল শ্রীলঙ্কায়? জায়াত আল তৌহিদের ছোট্ট কিন্তু রহস্যময় একটা ইউনিট আছে তামিলনাড়ুতে। তাদের সম্পর্কে ভারত সরকারের বক্তব্য কী? এই দলের সঙ্গে সম্পর্কিত কারও সূত্র ধরেই (যে জেলে বন্দি) কী ভারত কোনও সূত্র পেয়েছিল বোমা হামলার, যা তারা জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কাসহ অন্য দুই একটা দেশকে? ইরাক ও সিরিয়ায় দারুণভাবে মার খাওয়ার পর আইএস’এর জন্য কি এমন একটা বোমা হামলার দরকার ছিল? শ্রীলঙ্কা থেকে কয়জন গিয়েছিল সিরিয়ায় কথিত ধর্মযুদ্ধ করতে? তারা ফিরে এসে কী করছে এখন? কতজন রহস্যময় পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় নাগরিক এসেছিল শ্রীলঙ্কায় এক বছর ধরে? এসবের কোনও পরিসংখ্যান কি খতিয়ে দেখেছে শ্রীলঙ্কা? নাকি সবই আলোচনায় চলে আসে কোনও ঘটনা ঘটার পর? এই উপমহাদেশে নতুন কোনও ফ্রন্ট খুলতে কি আসলেই মরিয়া আইএস?

তবে শ্রীলঙ্কার বোমা হামলার ধরন তালেবান তথা আইএসের মতো। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ। যারা আত্মঘাতী হয়ে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা শ্রীলঙ্কার ধনিক শ্রেণির সদস্য, যা কিনা ঢাকার হলি আর্টিজানে হামলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। হলি আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছিল তারা গ্রামের কোনও মক্তব বা মাদ্রাসা থেকে আসেনি। তাদের বেশিরভাগ ছিল ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্র। ২১ এপ্রিল ২০১৯-এর বোমা হামলায় শ্রীলঙ্কার ধনাঢ্য ব্যক্তি ইনসাফ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী ফাতিমা ইব্রাহিমের উপস্থিতি সে দেশের অনেককেই অবাক করেছে। শ্রীলঙ্কার পাঁচতারকা হোটেল সাংগ্রিলায় হামলা চালিয়েছিল এই দম্পতি। ইনসাফের পিতা ইউসুফ ইব্রাহিমও ছিলেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং শ্রীলঙ্কার শিল্পমন্ত্রী ঋষৎ বাথিউজেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বোমা হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভিডিও এবং অন্যান্য সূত্রে আরও জানা গেছে, ইনসাফের সহোদর ইলহাম ইব্রাহিমও নিহত হয়েছে। নিহত হয়েছে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং তিন সন্তান। ইনসাফ ইব্রাহিম এমন কোনও মানুষ নয়, যার না পাওয়ার বেদনা বা অভাব রয়েছে। এমন নয় যে রাষ্ট্র তার প্রতি কোনও অবিচার করেছে। শ্রীলঙ্কার গোড়া বৌদ্ধরা যদি মুসলমানদের প্রতি অবিচারও করে থাকে তাহলেও তার প্রতিশোধ এমন নৃশংস হতে পারে না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: শ্রীলঙ্কার মুসলমানরা ঘোষণা দিয়েছেন, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত কারও জানাজা পড়াবেন না কোনও ইমাম। বোমাবাজদের দাফন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকবে না কোন মুসলমান। তারপরও বেশিরভাগ মুসলমানকে এই ঘটনার সুদূরপ্রসারী মাসুল দিতে হবে। কেউ কেউ মনে করবে মুসলমান মাত্রই মনে মনে সন্ত্রাসের বীজ বহন করে। সন্ত্রাসের ব্যাকরণ আর ধর্ম তবুও বদলাবে না। আমেরিকা তার স্বার্থের জন্য কখনও তালেবান কখনও আইএস সৃষ্টি করবে। সন্ত্রাসের ব্যাকরণ ছড়িয়ে থাকবে বিশ্বে। এভাবেই কি সন্ত্রাসের ধর্মে দীক্ষিত হবে নতুন কেউ?

লেখক: রম্যলেখক

 

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
টিভিতে আজকের খেলা (২৭ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৭ এপ্রিল, ২০২৪)
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ