X
বুধবার, ২২ মে ২০২৪
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রুশবিরোধী যুদ্ধে তিন প্রতিকূলতার মুখে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:১৫আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৬

রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের ১৮ মাস পার হওয়ার পর তিনমুখী প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীকে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করতে পাল্টা আক্রমণে ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগোচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের বিমানবাহিনীর শক্তি, গোলাবারুদ ও উন্নত প্রশিক্ষিত সেনার ঘাটতি রয়েছে। এসব কারণে রাশিয়ার দখলে থাকা পূর্ব ও দক্ষিণের ভূখণ্ডে সেনা পাঠাতে পারছে না তারা। পশ্চিমারা ইউক্রেনে অস্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং শেষ পর্যন্ত তারা একটি যুদ্ধবিরতির আলোচনা চায়। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি চুক্তির জন্য প্রস্তুত হলেও অতীতে তিনি চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন এবং কিয়েভকে মস্কোর অধীনে করার অভিযান পুনরায় শুরু করেছেন। চলমান এই সামরিক ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে, যতক্ষণ না এই তিনটি পরিস্থিতির মধ্যে অন্তত একটির পরিবর্তন না হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

ইউক্রেনীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই অচলাবস্থা রাশিয়ার পক্ষে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহযোগিতায় যদি পশ্চিমে রাজনৈতিক অবসাদ দেখা দেয়। ইউক্রেনের এক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন বলেছেন, পরিস্থিতি ধরে রাখা সম্ভবপর নয়।

ইউক্রেনের সামরিক প্রত্যাশা

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্বে রবোটাইন গ্রামের কাছে রাশিয়ার শক্তিশালী প্রতিরক্ষার রেখার প্রথম সারি ভেদ করেছে। কিন্তু তারা তাদের পাল্টা আক্রমণের লক্ষ্য আজভ সাগরে পৌঁছানো থেকে এখনও ৫৫ মাইল দূরে।

সম্প্রতি রবোটাইন গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। ছবি: রয়টার্স

চার মাসে গড়ানো পাল্টা আক্রমণ এখন পর্যন্ত সেসব ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমাদের জন্য হতাশার, যারা বড় ধরনের অগ্রগতি প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও ইউক্রেনের পক্ষে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। যদি শীতের আগে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তৃত রুশ প্রতিরক্ষা তারা গুঁড়িয়ে দিতে পারে অথবা বিধ্বস্ত রুশ সেনারা ব্যর্থ হয় ইউক্রেনীয় আক্রমণ প্রতিহত করতে।

যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি জেনারেল, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সামরিক বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে কিয়েভের রাশিয়ার প্রথম হামলা থেকে শুরু করে গত বছর খারকিভ ও খেরসনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অবাক করা সাফল্য।

ক্লিমকিন বলেন, আমরা জানি না যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটতে পারে।

জাপোরিজ্জিয়া ও ডোনেস্কে ইউক্রেনীয় সেনারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার লড়াই করছে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগে গ্রীষ্মকালে এসব প্রতিকূলতা সম্পর্কে তারা অজ্ঞাত ছিল।

ঘন ঘন মাইন পুঁতে রাখা বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি, নতুন ইউনিটের প্রশিক্ষণের অভাব এবং রাশিয়ার সেনাদের প্রতিরক্ষায় দক্ষতার কারণে ইউক্রেনকে প্রতি মাইল পুনরুদ্ধারে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট-এর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌশল পাল্টে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী তাদের সেনা ও সামরিক যানের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পেরেছে। কিন্তু তাদের নতুন কৌশল রাশিয়ার সেনাদের সম্মুখভাগে পিছু  হটার পর পুনরায় সংগঠিত করার সময়ও দিচ্ছে। এর ফলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষে আক্রমণে গতি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

লভিভ শহরে সেনাদের সমাধি। ছবি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো সেনা ও সামগ্রিক দৃঢ়তা রয়েছে ইউক্রেনের, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখে। কিন্তু রাশিয়ার মতো একটি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পশ্চিমাদের আরও দৃঢ়তা প্রয়োজন হবে। ইউক্রেনের জয় নিশ্চিত করতে তাদের আরও বেশি অস্ত্র ও সরঞ্জাম মোতায়েন করতে হবে।

পশ্চিমা সতর্কতা

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা দেশগুলো একটি পরিমিত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। যা ইউক্রেনে রাশিয়ার জয়ী হওয়া ঠেকাচ্ছে। একই সঙ্গে মস্কোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার মতো উত্তেজনা তৈরির ঝুঁকি সীমিত করছে।

ইউক্রেনকে সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হিসেবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে কিয়েভকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী সামরিক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। তবে এই শক্তিশালী অবস্থান কী হবে তা সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

কয়েক মাসের বিতর্ক এবং কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্রদের টানা লবিংয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দিতে রাজি হয়েছে। কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়াকে পরাজিত করার উদ্যোগকে জোরদার করতে চায়।

বাখমুতের কাছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ছবি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বারবার বলে আসছেন, পুতিনকে জয়ী হতে দেওয়া যাবে না। তবে ইউক্রেনকে জয়ী হতে হবে, এটি বলা এড়িয়ে যাচ্ছেন। 

বার্লিনভিত্তিক কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের পরিচালক আলেক্সান্ডার গাবুয়েভ বলেছেন, পশ্চিমারা দেখিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন নিয়ে তাদের আগ্রহ সীমিত। হৃদয় বিদারক হলেও পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক ভোটার মনে করেন, এই যুদ্ধ তাদের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করেন না। তারা চান অন্যান্য ইস্যুতে অর্থ ব্যয় হোক।

পশ্চিমাদের অগ্রাধিকার হলো ক্রেমলিনের সামরিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা দুর্বল করা। যাতে মস্কোর সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের অবসান হয়। এছাড়া ন্যাটো দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোও পশ্চিমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। বর্তমান অচলাবস্থা শেষের দুটি লক্ষ্যে কালো ছায়া ফেলছে।

জুলাই মাসে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলনের পর বাইডেন বলেছিলেন, ‘পুতিন ইতোমধ্যে যুদ্ধ হেরে গেছেন’। তবে এই পর্যালোচনায় সম্মত নন পুতিন, এমনকি ইউক্রেনও। 

সাবেক ইউক্রেনীয় মন্ত্রী ক্লিমকিন বলেন, এখন পর্যন্ত পুতিন মনে করেন সময় গড়ানো রাশিয়ার পক্ষে সুবিধাজনক। পশ্চিমাদের সঙ্গে আমাদের একটি সমন্বিত কৌশল প্রয়োজন। যাতে করে পুতিন ভাবতে বাধ্য হন যে সময় গড়ানো তার ব্যক্তিগত অবস্থান ও রাশিয়ার বিপক্ষে যাচ্ছে।

গাবুয়েভ বলেন, এই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে আসেন এবং কিয়েভকে দেওয়া সহযোগিতা বন্ধ করেন। তখন পুতিনের মূল লক্ষ্য কিয়েভে বন্ধুসুলভ শাসক বসানো, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়ার অনুগত রাষ্ট্র স্থাপনের বিষয়টি আলোচনায় ফিরে আসতে পারে।

পুতিনের সঙ্গে আলোচনা

ওয়াশিংটন ও গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় রাজধানীগুলোতে অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, শক্তি প্রয়োগ করে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছ থেকে দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। পশ্চিমা সামরিক সহযোগিতায় বড় অগ্রগতি ঘটলে ভিন্ন কথা। কিন্তু তারা মনে করেন, এমন পরিমাণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা ঝুঁকিপূর্ণ।

সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনীয় একটি  বাজারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ছবি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

পশ্চিমা নেতারা আলোচনায় বসার জন্য কিয়েভকে চাপ প্রয়োগে নারাজ। কারণ, এতে ন্যাটোতে বিভাজন দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে রাশিয়া বলতে পারবে পশ্চিমারা কিয়েভের পক্ষে নেই। কিন্তু অনেক নেতাই দীর্ঘ যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি চেয়ে আলোচনাকেই বেছে নিতে পারেন।

পশ্চিমা অনেক বিশ্লেষক দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছেন যে সংঘাত বন্ধ ও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া হবে ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর। বিপরীতে তাদের রাশিয়ার মতো দেশের সঙ্গে অচল যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনন্ত প্রাণহানির মুখোমুখি হতে হবে।

কিন্তু জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয়দের অধিকাংশ রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়াকে সমর্থন করছেন না। দখলকৃত এলাকায় রুশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক হত্যা, টর্চার চেম্বার, শুদ্ধি  ক্যাম্প, শিশুদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো ইউক্রেনীয়দের নিজেদের সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে  দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে তুলছে।

ক্লিমকিন বলেন, এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ইউক্রেনীয় কোনও ধরনের আলোচনার পক্ষপাতী না। এটি যেমন আবেগি সিদ্ধান্ত, তেমনি রাজনৈতিক অবস্থান।

এছাড়া অনেকে মনে করেন, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এমনকি পুতিন চুক্তির জন্য প্রস্তুত হলেও তিনি তা মেনে চলবেন না।

ইউক্রেনে  রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করা রাশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই কজিরেভ বলেছেন, যুদ্ধবিরতিকে পুতিন  নিজের সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করবেন। এমন চুক্তির ফলে চীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার সুযোগ পাবে রাশিয়া। এক বছরের মাথায় পুতিন আবারও আক্রমণ চালাবেন।

পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়া একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যেগুলোতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যাতে দুই দেশের স্থল সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়েছে।

২০০৮ সালে জার্মান টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিমিয়াকে রাশিয়া নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করবে কিনা। জবাবে তিনি বলেছিলেন, অনেক আগে থেকেই রাশিয়া আধুনিক ইউক্রেনের সীমান্তকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি মনে করি এমন লক্ষ্যের প্রশ্নতে উসকানিমূলক অভিসন্ধি রয়েছে। 

কিন্তু ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া। একই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মাধ্যমে দখল করে। মিনস্ক চুক্তি নামে পরিচিত যুদ্ধবিরতি সমঝোতা অনুসারে, সীমান্তে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার কথা। বিনিময়ে রাশিয়া সমর্থিত ছিটমহলের স্বায়ত্তশাসন মেনে নেবে ইউক্রেন। কিন্তু এই চুক্তি লড়াই থামায়নি। কোনও পক্ষ মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। ইউক্রেন মনে করে চাপে পড়ে খারাপ চুক্তি করেছে তারা। ক্রেমলিন চেয়েছে  ডনবাসে তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীদের ব্যবহার করে ইউক্রেন রাষ্ট্রকে দুর্বল করতে।

ডনবাসের চাসিভ ইয়ার শহরে ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালাইসিস-এর প্রধান অ্যালিনা পলিয়াকোভা বলেছেন, কয়েক বছর রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য পটভূমি প্রস্তুত করেছিল মিনস্ক চুক্তি।

২০১৪ সালে পুতিন নিরাপদ পিছু হটার প্রস্তাব দেওয়ার পরও ইলোভাইস্কে পশ্চাদপসরণকারী সেনাদের ওপর রাশিয়ার হত্যাযজ্ঞের কথা ভুলেননি ইউক্রেনীয়রা।

সম্প্রতি  ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে করা চুক্তিও মানেননি পুতিন। প্রিগোজিন চুক্তিমতো বিদ্রোহের অবসান  ঘটানোর কয়েকদিন পর রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনায় ক্রেমলিনের ভূমিকা  রয়েছে অনেকেই মনে  করেন।

ক্লিমকিন বলেন, শুধু শক্তিশালী অবস্থান থেকে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের জোরালো অবস্থান নিতে হবে। শুধু ভূখণ্ড নয়, অস্ত্র ও সক্ষমতাতেও এগিয়ে থাকতে হবে। যাতে করে পুতিন বুঝতে বাধ্য হন যে, রাশিয়ার হেরে যাওয়ার আসলেই সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট  জার্নাল

/এএ/
টাইমলাইন: ইউক্রেন সংকট
সম্পর্কিত
রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থেকে সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা
রাইসির মৃত্যুতে উল্টে গেছে পাশার দান, আলোচনায় খামেনির ছেলে
কিশোর-কিশোরীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের পক্ষে আলবেনিজ
সর্বশেষ খবর
আ.লীগ নেতার ঘোড়ার দৌড়ে লক্ষাধিক ভোটে পিছিয়ে দুই নেতা
আ.লীগ নেতার ঘোড়ার দৌড়ে লক্ষাধিক ভোটে পিছিয়ে দুই নেতা
বেসবলের দেশ হারিয়ে দিলো বাংলাদেশকে
বেসবলের দেশ হারিয়ে দিলো বাংলাদেশকে
দুইদিন বিঘ্নিত হতে পারে ডেসকোর প্রিপেইড মিটার রিচার্জ
দুইদিন বিঘ্নিত হতে পারে ডেসকোর প্রিপেইড মিটার রিচার্জ
শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে অজ্ঞাত হামলায় ছাত্রদলের দুই নেতা আহত
শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে অজ্ঞাত হামলায় ছাত্রদলের দুই নেতা আহত
সর্বাধিক পঠিত
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডার সংস্কারে নতুন আদেশ
বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডার সংস্কারে নতুন আদেশ
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
সহিংসতার দুটি মামলা থেকে খালাস পেলেন ইমরান খান
সহিংসতার দুটি মামলা থেকে খালাস পেলেন ইমরান খান
প্রচুর ভুয়া ‘নুলস্তা’ পাওয়ায় ভিসা দিতে দেরি হচ্ছে: ইতালির রাষ্ট্রদূত
প্রচুর ভুয়া ‘নুলস্তা’ পাওয়ায় ভিসা দিতে দেরি হচ্ছে: ইতালির রাষ্ট্রদূত