X
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১

রুশ বিমান হামলা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪০

রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেছেন, পশ্চিমা অস্ত্র পাওয়া না গেলে দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়বে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইনহাত বলেছেন, রাশিয়ার অবিরাম বিমান হামলা মোকাবিলায় আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হচ্ছে। ফলে এগুলোর সরবরাহ প্রয়োজন। কারণ রাশিয়া বিমান হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে চলেছে।

দেড় হাজার কিলোমিটার রণক্ষেত্রে দুই দেশের সেনারা মোটামুটি অচলাবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রণক্ষেত্র থেকে দূরের অবস্থানে হামলা জোরদার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনীয় আকাশ ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে ও দুর্বলতা খুঁজতে এমন হামলা চালাচ্ছে মস্কো।

কিয়েভের কর্মকর্তাদের মতে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়া পাঁচ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

চলতি সপ্তাহের সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের দাবি, তারা এগুলোর মধ্যে ১৮টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় এই সংখ্যা কম। এর আগে প্রায়  ৮০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষমতা দেখিয়েছিল ইউক্রেন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন নিজেদের সোভিয়েত আমলের এবং পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। দেশটি নিজেদের অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনীয় অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলোই এখন রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু।

ইউরি ইনহাত বলেছেন, এই মুহূর্তে আমরা সোভিয়েত ও পশ্চিমা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।

সোমবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, বেসামরিক এলাকা ও সেনাদের অবস্থান সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।  

/এএ/
টাইমলাইন: ইউক্রেন সংকট
সম্পর্কিত
চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানালেন সি
মার্কিন সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করলো মেক্সিকো
যুদ্ধের পর ইসরায়েলই গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে: ট্রাম্প
সর্বশেষ খবর
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া, আহত ৩
আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়া, আহত ৩
বাস্কেটবল খেলতে নেপাল যাচ্ছে ঢাবি, স্পন্সরশিপ চেক হস্তান্তর
বাস্কেটবল খেলতে নেপাল যাচ্ছে ঢাবি, স্পন্সরশিপ চেক হস্তান্তর
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
সভাপতির দপ্তরে বিশেষ কমিটির রিপোর্ট, বাটলার-সাবিনাদের নিয়ে কী আছে সেখানে
সভাপতির দপ্তরে বিশেষ কমিটির রিপোর্ট, বাটলার-সাবিনাদের নিয়ে কী আছে সেখানে
সর্বাধিক পঠিত
‘আমি স্তম্ভিত’
‘আমি স্তম্ভিত’
‘খুলনার আর কোথাও ভাঙচুর হলে এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন নেবে না’
‘খুলনার আর কোথাও ভাঙচুর হলে এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন নেবে না’
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা গ্রেফতার
ধরুন, শিশুটি আপনার সন্তান
ধরুন, শিশুটি আপনার সন্তান
এবার রংপুরে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি
এবার রংপুরে নারী ফুটবল খেলা বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি