ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম বলেছেন, ‘বেইলি রোডের মতো পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্ত না ঘটে সেজন্য বাসা বাড়িতে গুদাম ভাড়া জন্য লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।’
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সোলায়মান সেলিম বলেন, ‘বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে তাদের অধিকাংশ রিকভারি করতে পেরেছেন। অনেকেই আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন তারা ট্র্যান্সফার হয়ে ওয়ার্ডে এসেছেন। একেক জনের স্টোরি একেক রকম। এটা একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ছিল। পরে তারা কীভাবে এটাকে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করলো? তারা কীভাবে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা করলো। বিল্ডিংয়ের ভেতর থেকে বাহির জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও রাখেননি। তারা বেঁচে থাকার জন্য উপরে যাচ্ছিল। উপরের দিকে যত যাচ্ছিল গ্যাসের পরিমাণ তত বাড়ছিল। ওই সময় তাদের বেঁচে থাকা অনেকটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। ওই জায়গা থেকে বেঁচে ফেরার জন্য অনেকেই আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। এটা একটি দুঃখজনক ঘটনা।’
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়রও লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করেছেন। যারা বাসায় গুদাম ভাড়া দেন, তাদেরও নিরুৎসাহিত করি। পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম মুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুরান ঢাকা ৫০০ বছরের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। এখানে অনেক আগে থেকে গুদাম ছিল। তাদের কালচার বা ব্যবসা ঠিক এইরকম। পুরান ঢাকার কেমিক্যালের গুদাম মুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এই প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করা দরকার। সরকার এই বিষয়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা বাসাবাড়ি থেকে এই ধরনের গুদাম সরাতে পারবো।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।