ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের লাশের খণ্ডিত অংশের খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর মঙ্গলবার (২৮ মে) নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে চার কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি এমপি আজীমের কি না তা নিশ্চিত করতে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে কলকাতায় নেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে যাচ্ছেন নিহত এমপির ভাই আবেদ আলী ও ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ।
সহকারী আবদুর রউফ বলেন, এমপির বড় ভাইয়ের ভিসা রেডি থাকলেও আমার ও এমপি কন্যা ডরিনের ভিসা ২৯ তারিখেও হাতে না পাওয়ায় ভারতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ভিসা হাতে পেলে আমরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবো।
ডরিন বলেন, আমার ভিসাটা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ওরা বলেছিল, একটা টেক্সট আসবে, ওটা রিসিভ করলে পাসপোর্টটা আজকেই দিয়ে দেবে হয়তো। ভিসাটা পেলেই ভারতে যাবো।
বাবা হারানো ডরিন বলেন, এখনও ডিএনএ টেস্টের বিষয়ে তারা আমাকে কিছু জানায়নি। তবে নিউজে যে মাংস উদ্ধারের বিষয়টি দেখানো হচ্ছে, ডিএনএ টেস্ট না হলে তো আমরা নিশ্চিত হতে পারবো না। ডিএনএ টেস্ট না করলে তো মেনে নিতে পারবো না।
সঞ্জীভা গার্ডেনের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের সেপটিক ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পরে তা ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য রক্তসম্পর্কীয় স্বজন প্রয়োজন হয়। তাই ভারতে যেতে হচ্ছে এমপি কন্যাকে।
সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমপির মেয়ে জানান, বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেগুলো বাবার কিনা তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এ জন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে পুলিশ আমাদের ডেকেছে। কিন্তু ভিসা রেডি না হওয়ায় এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি।