রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান পাল্টা আক্রমণ নিয়ে সমালোচনার পর মুখ খুলেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই ইউক্রেনের। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ধৈর্য ধরুন, জয় অনেক কঠিন। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে, ইউক্রেন চলমান পাল্টা আক্রমণের লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে না। এই অভিযানে ইউক্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো মেলিতোপোলে আজভ সাগর পর্যন্ত ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা। ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ যাওয়ার জন্য এই অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ। কিয়েভ ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
ইউক্রেন জুনের শুরুতে দেশের পূর্ব এবং দক্ষিণে রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অল্প কিছু ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার ছাড়া বড় কোনও অগ্রগতি তারা অর্জন করতে পারেনি এবং এর গতি খুব ধীর। বুধবার ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, কিয়েভ জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলে উরোজাইন গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। এটি গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম পুনরুদ্ধার করা গ্রাম।
অনেকে এখনও বিশ্বাস করেন ইউক্রেন অগ্রগতি চালিয়ে যেতে পারে। তবে অন্যরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন কিয়েভ এত কম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে যে হারে হতাহতের শিকার হচ্ছে, তা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে কি না।
ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, আমাদের কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। আমাদের সাফল্য আশাবাদীদের পুরস্কৃত করবে এবং সন্দেহবাদীদের খ্যাতি নষ্ট করবে। ইউক্রেনকে কখনই অবমূল্যায়ন করবেন না। ধৈর্য ধরুন। বিজয় কঠিন পরিশ্রম।
জুনের মাঝামাঝিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, পাল্টা আক্রমণের গতি আকাঙ্ক্ষার চেয়ে ধীর। কিছু লোক মনে করেন এটি হলিউডের সিনেমা এবং দ্রুত ফলাফল আশা করছেন।
পরে জুলাইয়ের শুরুতে জেলেনস্কি সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি জুনের আগে পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে ইউক্রেনকে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল।