ঘূর্ণিঝড় রিমালের গতিপথ বদলে যাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে পেট্রোবাংলা। রাতের মধ্যে সরবরাহ বাড়িয়ে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট করা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
বিকাল ৪টার মধ্যে এলএনজির ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) দুটি থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস ও রাতের মধ্যেই এক হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) জ্বালানি বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ কমায় তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত এমন সময়ে এলএনজি টার্মিনালকে উপকূলের কাছ থেকে নিরাপদ দূরুত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে এখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের ওপর দিয়ে রিমাল উপকূল অতিক্রম করবে। এজন্য মাতারবাড়ি এলএনজি টার্মিনালকে আবার স্বাভাবিক সরবরাহে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকায় ছাড়া অন্য এলাকায় গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সব নৌরুটে তেল পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তেল খালাসের অপেক্ষায় থাকা দুটি ট্যাংকারকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে।