ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫২ গ্রাহক। এরমধ্যে বেশিরভাগ গ্রাহকই পল্লী বিদ্যুতের। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে, তার ছিড়ে, খুঁটি উপড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ২১ লাখ ৯ হাজার ৭০২ গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির বিদ্যুৎ বন্ধ আছে ৫৭ হাজার ৫৫০ গ্রাহকের।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আরইবি ৯৩ ভাগ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ৮৭ ভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছে।
রবিবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমাল শুরুর সময় আরইবির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরইবি ২ কোটি ৮২ লাখ (৯৩ ভাগ) গ্রাহককে পুনঃসংযোগ দিয়েছে এবং ওজোপাডিকো ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩১) (৮৭ ভাগ) গ্রাহককে ইতোমধ্যে পুনঃসংযোগ দিয়েছে।
আরইবি জানায়, এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি ২১ লাখ ৯ হাজার ৭০২ গ্রাহক। ৭৬৬টি ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ কেভি ফিডারের মধ্যে ৬টি ফিডার ঠিক করা বাকি। এদিকে ১ হাজার ১০৫টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের মধ্যে ঠিক করা বাকি ১০টি, ৬ হাজার ২৩৫টি ১১ কেভি ফিডারের মধ্যে বাকি ১৭১টি, ৩ হাজার ৮৩৩টি ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক খুঁটির মধ্যে বাকি ২৭০টি, ২ হাজার ৮১৮টি ক্ষতিগ্রস্ত বিতরণ ট্রান্সফরমারের মধ্যে বাকি আছে ৩৬৫টি। এদিকে ৩ হাজার ৫৬ কিলোমিটার তার ছেড়া স্প্যানের মধ্যে এখনও ৪৯৩ কিলোমিটার ঠিক করা যায়নি। ২৪ হাজার ২৫৮টি ক্ষতিগ্রস্ত ইন্সুলেটরের মধ্যে বাকি ৪৪৩টি, ৫৯ হাজার ৩৯৯টি মিটারের মধ্যে বাকি ৭ হাজার ৩০০টি। প্রাথমিক তথ্যানুসারে ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি আরইবি’র।
আরইবি জানায়, আজ রাত ১১টা নাগাদ ৯৫ ভাগ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সমিতির দুর্যোগে আলোর গেরিলা ও আরইবি’র কারিগরি টিমসহ ঠিকাদারদের পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবলসহ বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছেন। বাকি গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হবে বিধায় পরবর্তীতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র ঝড়ের কারণে বর্তমান বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহকের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫৫০। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইনের অবশিষ্টাংশের মেরামত কাজ চলমান আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করার কাজ চলমান রয়েছে। অতিসত্বর সম্পূর্ণ লাইন চালু হবে বলে আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।