ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ৫৬টি প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি হরিণ এবং দুটি শুকর রয়েছে। গত পাঁচ দিনে গোটা সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে।
সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, ৩০ মে সকাল পর্যন্ত ৫৬টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসের বানের সঙ্গে ভেসে যাওয়া ১৭টি হরিণ আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেগুলোকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ থেকে ১২ ফুট। জলোচ্ছ্বাসের ফলে সৃষ্ট জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে বিস্তৃত হয়। এর ফলে হরিণগুলো ভেসে ওঠে, কিন্তু সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে সেগুলো মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
মরদেহগুলো বনের বিভিন্ন পয়েন্টে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।