ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এ পর্যন্ত মোট ১৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১১ জন, মহিলা ৩ জন ও শিশু ২ জন। মৃতদের মধ্যে খুলনায় ১ জন, বরিশালে ৩, সাতক্ষীরায় ১, চট্টগ্রামে ১, পটুয়াখালীতে ৩, পিরোজপুরে ৪ ও ভোলায় ৩ জন।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত পাওয়া এসব তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র (এনডিআরসিসি)।
এনডিআরসিসি জানায়, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে মোট এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্য ৪০ হাজার ৩৩৮টি। আংশিক বিধ্বস্ত এক লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে দেশের মোট ১৯ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর ও যশোর। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১১৯টি। ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন এবং পৌরসভা ৯৩৪টি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৪৬৪ জন।
এনডিআরসিসি সূত্র আরও জানিয়েছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল ৯ হাজার ৪২৪টি। এসব কেন্দ্রে ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া আশ্রয় নিয়েছে ৫২ হাজার ১৪৬টি।