X
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
১৪ আষাঢ় ১৪৩২

সুনামগঞ্জে মানুষ কি হেরে যাবে?

আমীন আল রশীদ
১৯ জুন ২০২২, ১৮:২৬আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৮:২৯
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকালে রাজধানীর গুলশানে একটি বহুতল ভবনের বারান্দা থেকে বৃষ্টির ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ার পরে সিলেট থেকে বন্ধু মাকসুদা সেই ছবির নিচে লিখেছে, ‘তোমার আষাঢ় আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

মনে পড়ে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর উপকূলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানার পরে নোয়াখালী থেকে বন্ধু শামীম মোবাইল ফোনে একটা মেসেজে দিয়েছিল: ‘আমরা ভেসে ভেসে মরে যাই, কেউ খোঁজ নেয় না।’

শামীমের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল তার দুই তিন দিন পরে। কারণ, বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। মোবাইল নেটওয়ার্কও তখন খুব সহজ ছিল না।

এই শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটা দীর্ঘ মেসেজ পাঠান, যার সারাংশ এরকম: ‘ভাই, সুনামগঞ্জে কিছুই নাই। নেটওয়ার্ক নাই। বিদ্যুৎ নাই। এখন একটু নেট পাইছি। এক ভবনে আশ্রয় নিছি। পুরো বাসা মালামালসহ পানিতে। সারা শহর ডুবে আছে। মানুষ কোথায় আশ্রয় নেবে। দ্রুত পানি বাড়ছে। অনেকে সাঁতরে যাচ্ছে। বৃদ্ধ ও শিশুরা কী করবে। মানুষ না খেয়ে, জায়গা না পেয়ে দুর্ভিক্ষ লাগবে।’

আসলেই কি তাই? এরকম বন্যা কি বাংলাদেশে এর আগে হয়নি? তখন কি দুর্ভিক্ষ হয়েছে? দুর্যোগ মোকাবিলায় যে বাংলাদেশকে রোল-মডেল বলা হয়, সেই দেশের মানুষকে কেন লিখতে হয় ‘তোমার আষাঢ় আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে?’ সেই দেশে একজন সচ্ছল মানুষকেও কেন খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে দুর্ভিক্ষের কথা ভেবে আতঙ্কিত হতে হয়?

ওই সাংবাদিক লিখেছেন, এমন বন্যা সুনামগঞ্জর মানুষ আগে দেখেনি। অন্তত এই সময়ে যারা প্রবীণ, তারাও এমন ভয়াবহ বন্যার কথা মনে করতে পারেন না। বন্যার পানি ধনী গরিবের ব্যবধান ঘুচিয়ে সবাইকে আশ্রয়প্রার্থী করেছে। যারা একতলা বাড়িতে কিংবা উঁচু ভবনের নিচতলায় থাকেন, তাদের কেউই এখন আর নিজেদের ঘরে নেই। সবাইকে উঁচু ভবনে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

বন্যার পানিতে ডুবেছে জেলা সবচেয়ে উঁচু স্থানটিও। এর আগে বন্যায় যাদের বসতঘরে পানি ওঠেনি, তারাও এবার ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। পানি উঠে গেছে উঁচু সড়কে। ফলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে কোমর বা বুকসমান পানি পেরিয়ে, সাঁতরে অথবা নৌকাই ভরসা।

শহরের ভেতরেই হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি। আবহাওয়া অধিদফতর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে যা বলা হচ্ছে তা আরও শঙ্কার। বলছে,  সুনামগঞ্জে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এতে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। সেই বন্যা বৃহত্তর সিলেট ছাড়িয়ে আশপাশের জেলাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

গণমাধ্যমে যেসব ছবি এসেছে, তার অনেকগুলো ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। বুকের ভেতর হাহাকার করে ওঠে। আমরা যারা রাজধানীর বহুতল ভবনের বারান্দা থেকে বৃষ্টির ছবি তুলে ফেসবুকে আপ করে রবীন্দ্রনাথের ‘আবার এসেছে আষাঢ়’ লিখে ক্যাপশন দিই—তারা জানবো না, তারা বুঝবো না, ওই আষাঢ় কতটা নির্মমভাবে বয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ ওই অঞ্চলের মানুষের ওপর দিয়ে।

কেন এই পরিস্থিতি?

গণমাধ্যমের খবর বলছে, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে তিন দিনে আড়াই হাজার মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল চেরাপুঞ্জিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে—যা ১২২ বছরের মধ্যে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আর উজানে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তার পানি যে ভাটিতে অর্থাৎ বাংলাদেশে নেমে আসবে, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার কথা যে নদী, হাওর ও জলাশয়ের, সেগুলোর ধারণক্ষমতা কি আগের মতো আছে?

সুনামগঞ্জ এলাকার নদীগুলো নানা কারণে ভরাট হয়ে গেছে। পলি পড়ে নদীর গভীরতা কমেছে। কিন্তু এর প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য নদীগুলো যেভাবে খনন করার কথা ছিল, তা হয়নি। নদীগুলো নাব্য থাকলে, গভীর থাকলে সে অতিবৃষ্টি ও বন্যার অতিরিক্ত ধরে রাখতে পারতো। তাহলে এখন লাখ লাখ মানুষকে বানভাসি হতে হতো না। বৃষ্টির পানিতে নদী ও জলাশয়গুলো থইথই করতো। কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যেত না। হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসলের জমি তলিয়ে যেতো না।

নদী খননের বাজেট কোথায় কতটুকু খরচ করা হয়েছে; কী কাজ হয়েছে; সেই কাজের ফলাফল কী, তা নিয়ে স্থানীয়দের মনে প্রশ্নের শেষ নেই। সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ, নানা জায়গায় অপ্রয়োজনে বাঁধ হলেও প্রয়োজনীয় জায়গায় হয়নি। আবার বাঁধ নির্মাণে অনিয়মেরও শেষ নেই। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল কিংবা ভারি বৃষ্টির পানির তোড়ে বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়ে। আরেকটি বড় অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য পিআইসি গঠন করা হয়। যে কারণে নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণ করা হলেও তার কোনও জবাবদিহি নেই। আবার প্রয়োজনীয় অনেক স্থানে বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ রাখা হয়নি। বাঁধের পাড় থেকেই মাটি কেটে বাঁধে ফেলাতেও কিছু বাঁধ ঝুঁকিতে আছে।

কথা উঠছে কিশোরগঞ্জের হাওরের ভেতর দিয়ে নির্মিত বহুল আলোচিত অলওয়েদার সড়ক নিয়ে। কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের তিনটি উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের দীর্ঘ যে অলওয়েদার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল; এটি ওই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ সহজ করলেও দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, এই সড়কের কারণেই এই বানের পানি হাওর থেকে দ্রুত নদীতে নামতে পারছে না।

সুতরাং, প্রকৃতির নিয়মে অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা হলে সেই বন্যার পানি নদী হাওর ও জলাশয়গুলো ধরে রাখতে পারছে কিনা এবং শেষ পর্যন্ত সেই বিপুল পানি বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়তে পারছে, নাকি স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টি হলেই কিংবা উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে এলে সেই পানি নদী ও জলাশয় উপচে জনপদ ডুবিয়ে দিচ্ছে—সেই ভাবনাটি জরুরি।

সুযোগসন্ধানী ও আশাশীল মানুষ

জীবনানন্দ দাশের ভাষায়: ‘চারিদিকে ব্যর্থ মৃত্যুশীল, তবুও আশ্চর্য সব আশাশীল মানুষের আলোড়ন।’ সুতরাং যে বাংলাদেশকে বলা হয় দুর্যোগ মোকাবিলায় রোল-মডেল, সেই দেশের মানুষ নিশ্চয়ই বানের জলে ভেসে যাবে না। সেই দেশের মানুষ নিশ্চয়ই আশ্রয় না পেয়ে ভাসতে থাকবে না কিংবা খাবার না পেয়ে নিরন্ন থাকবে না। কারণ, আমাদের চারপাশে রয়েছেন অজস্র আশাশীল মানুষ।

কথা হচ্ছিলো সুনামগঞ্জের হাওরের ট্যুর অপারেটর কামাল খানের সঙ্গে। জানালেন, পর্যটকদের জন্য তাদের যত নৌকা আছে, সবকটি ছেড়ে দিয়েছেন বানভাসি মানুষদের উদ্ধার করতে। শুধু তিনি নন, তার মতো যারাই ওখানে ট্যুর অপারেট করেন, যাদের নৌকা আছে, তার জানা মতে কেউই নৌকা ঘাটে বেঁধে রাখেননি। সবাই মানুষকে উদ্ধারে এবং নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, তারা নানাজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলছেন। এমনকি অনেক পর্যটকও যে যতটুকু পারছেন সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। নৌকার ভেতরেই রান্না হচ্ছে। এটিই বাংলাদেশের মানুষের শক্তি। মানুষ যখনই বিপন্ন হয়েছে, ঝড় জলোচ্ছ্বাসে বন্যায় বানভাসি হয়েছে, তখন মানুষই তার সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে দলমত নির্বিশেষে সবাই বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

তবে মুদ্রার অন্য পিঠও আছে। অনেকেই বিপদের সুযোগ নিয়ে এক টাকার জিনিস একশ’ টাকায় বিক্রি করেন। শনিবার ডেইলি স্টারের একটি খবরে বলা হয়, নৌকার মাত্রাতিরিক্ত ভাড়ার কারণে পানিবন্দি অনেক মানুষকে তাদের স্বজনরা উদ্ধার করতে পারছেন না। আবার কোথাও কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও নৌকা মিলছে না। খবরে বলা হয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের স্বজনেরা ভিড় করছেন সিলেট শহরের পার্শ্ববর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর ঘাটে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই ঘাটে শতাধিক যাত্রীবাহী নৌকা ছাড়াও বালুবাহী নৌকাও বন্যাদুর্গতদের সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নৌকার মালিক ও মাঝিরা সব নৌকার ভাড়া অন্তত শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সালুটিকর থেকে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল গ্রামের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। স্বাভাবিক সময়ে এই পথটুকু নৌকায় যেতে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হয়। এখন এই ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে মাঝিরা ভাড়া হাঁকছেন ৫০ হাজার টাকা। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি থেকে সিলেট শহরে নিয়ে আসতে গিয়ে শুক্রবার বিকালে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন মারুফ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে বললেও নৌকার মাঝি রাজি হননি।

বিপদের সময়ে এই মানসিকতা বিপদকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। মানুষের বিপদকে পুঁজি করে যারা এরকম রাতারাতি অনেক টাকা কামিয়ে নিতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা দরকার।

খাদ্য নিশ্চিত করা জরুরি

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিরাপদ আশ্রয় ও খাবার। সচ্ছল অসচ্ছল সবারই এখন ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় নিশ্চিত করা জরুরি। আশার কথা, উপদ্রুত এলাকায় মানুষের সহায়তায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তবে এটা ঠিক, ব্যক্তিগত পর্যায়ের উদ্যোগ ও সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। দেশের সব প্রান্তের মানুষের উচিত, যে যেভাবে পারেন, দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। এ রকম বিপদের সময়ে শুধু সরকার কী করলো; কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতা কী বললেন; সোশাল মিডিয়ায় কে কতটা প্রশংসা ও নিন্দা করলেন, সেই তর্কে সময় নষ্ট করা এখন নয়। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে।

এখন উপদ্রুত এলাকার সকল উঁচু ভবনই আশ্রয়কেন্দ্র। যিনি তিনতলায় পাঁচ জন মানুষ নিয়ে থাকেন, তাকে এখন আরও পাঁচ জন পরিচিত, অল্প পরিচিত এমনকি অপরিচিতকে আশ্রয় দিতে হবে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আশ্রয়। তারপর খাদ্য।

বন্যায় যখন বাজারঘাট, নিত্যপণ্যের দোকানপাটও ডুবে গেছে, তখন খাদ্য সংকট অবধারিত। মানুষের বাড়িঘর ডুবে গেছে মানে তাদের প্রত্যেকের ঘরে যে খাবার ছিল, যে চাল ডাল আটা তেল নুন ছিল, তার অধিকাংশই শেষ। কেউ কেউ হয়তো সামান্য কিছু বাঁচাতে পেরেছেন। সুতরাং, তারা কী খাবেন—সেটি এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিপুল পরিমাণে শুকনো খাবার যেমন চিড়া মুড়ি বিস্কুট পৌঁছে দিতে হবে। এখন আর একটি পরিবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার সময় নেই। প্রত্যেককে একসাথে থাকতে হবে। এক হাঁড়ির রান্না এখন হয়তো অনেক পরিবারের অনেক মানুষকে খেতে হবে। এখন আর মেন্যুর দিতে তাকানোর সময় নেই। বন্যা যেহেতু সচ্ছল অসচ্ছল সকলের ঘর ডুবিয়ে দিয়ে সামাজিক ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে, অতএব এখন আর শ্রেণিবিন্যাসের সুযোগ নেই। সকলকেই একসঙ্গে বাঁচতে হবে। বানের পানি নেমে গেলে আবার যে যার মতো থাকবেন। কিন্তু এই দুঃসময়ে একজন মানুষ বা একটি পরিবারের বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ নেই।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
টিভিতে আজকের খেলা (২৮ জুন, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (২৮ জুন, ২০২৫)
কেন্দ্রে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী
কেন্দ্রে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী
পড়াশোনার জন্য শাসন করায় স্কুলশিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
পড়াশোনার জন্য শাসন করায় স্কুলশিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
চীন সফর ছিল রাজনৈতিক: দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল
চীন সফর ছিল রাজনৈতিক: দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল
সর্বশেষসর্বাধিক