X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় শুল্ক নীতি প্রণয়ন

ফেরদাউস আরা বেগম
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০৬আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০৬

সরকার অন্য একটি দেশ থেকে যেসব পণ্য এবং সেবা আমদানি করে– মূলত সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে ট্যারিফ আরোপ করে থাকে।  প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা গ্রহণের জন্য একই সঙ্গে এতে রাজস্ব সংগ্রহের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়। একইসঙ্গে স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণেও কাজ করে। ক্ষেত্র বিশেষে এর কিছু রাজনৈতিক দর্শনও থাকতে পারে। তবে স্থানীয় শিল্পের স্বার্থ, বিনিয়োগ আকর্ষণ, রাজস্ব আহরণ, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি সহায়ক শুল্ক নীতির ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ আগামী ২০১৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। WTO-এর নীতিমালা অনুসারে স্থানীয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক যৌক্তিক হতে হবে, যাতে তা দেশজ শিল্প এবং রফতানিকারক দেশের সঙ্গে কোনও বৈষম্য সৃষ্টি না করে। সেক্ষেত্রে নতুন ধরনের নীতিমালায় উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। শিল্পের প্রতিরক্ষণ বিষয়গুলোর ব্যবস্থা হবে ভিন্ন যেমন; অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক, কাউন্টারভেইলিং মেজারস এবং সেইফগারড শুল্ক যা  শুল্ক পার্থক্য  নিরসনে তখন প্রাধান্য পাবে।  ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে একেবারেই তৈরি নয়।

বাংলাদেশের একটি ট্যারিফ সূচি রয়েছে, যার মাধ্যমে সরকার এগুলো প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে থাকে। বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর আওতায় আরোপযোগ্য কর সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারকৃত শুল্ক হার (Bound Rate),  বন্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে ও সরকার শুল্ক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের শুল্ক ব্যবস্থাপনা অন্যান্য উন্নয়নশীল  দেশের সমপর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য শুল্ক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় সামনে রেখে একটি জাতীয় শুল্ক নীতি প্রণীত হতে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে একটি খসড়া জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩  প্রণীত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় অংশীজনের সঙ্গে এই খসড়া নীতিটি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়। এ সভায় শুল্ক নির্ধারণে সাধারণ নীতিমালা, জাতীয় শুল্ক নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রফতানি সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুগোপযোগী শুল্ক নীতির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এই নীতির প্রধান উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কর-জিডিপি হার অন্যান্য দেশের তুলনায়  কম এবং সে কারণে প্রত্যক্ষ কর হার বাড়ানোর তাগিদ রয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের কর আহরণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের অনুপাত ৬৮:৩২, যা কর আহরণে পরোক্ষ করের ওপর অতি-নির্ভরশীলতা পরিলক্ষিত হয়, এর ফলে পরোক্ষ করের আওতা বৃদ্ধিতে নীতি তথা কর সংশ্লিষ্ট নীতিসমূহ বিশেষভাবে পরিমার্জিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর-নেটওয়ার্ক বাড়ানো কিছুটা সম্ভব হলেও, রিটার্ন সাবমিশন খুব বেশি বাড়ানো এখনও সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষ করের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির জন্য আইন ও পদ্ধতিগত বিষয়ে জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে করদাতা স্বাচ্ছন্দ্যে কর প্রদানে আগ্রহী হয়, বিশেষ করে উৎসে কেটে নেওয়া কর সমন্বয় করার ব্যাপারে নীতিমালা পরিষ্কার করা দরকার।

যাহোক, নতুন এ শুল্ক নীতি জাতীয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার লক্ষ্যে বিগত দুই দশকের শুল্ক কাঠামো, বন্ড ব্যবস্থা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে শুল্ক নির্ধারণে ১৬টি সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

দেখা যায়, এসব সাধারণ নীতিগুলোর অনেকটাই বিভিন্নভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেমন– মিনিমাম ভ্যালু/ট্যারিফ ভ্যালু (ক্রমিক নং-১৩)। এ ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে ৫০টির মতো পণ্য মিনিমাম ভ্যালু আওতামুক্ত করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত রয়েছে যে আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ তিন ধাপে সব মিনিমাম ভ্যালু/ট্যারিফ ভ্যালু পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত করা হবে, যা বাজেটেও প্রতিফলিত হবে।

পর্যায়ক্রমিক বিলুপ্তির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কেবল জরুরি পরিস্থিতিতে আরোপের বিষয়টি কাস্টমস আইনের ধারা ২০-এর মাধ্যমে প্রতিপালিত হচ্ছে। অন্যদিকে সিজনাল ট্যারিফের (ক্রমিক নং-১০)  বিষয়টি কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে লক্ষণীয়, যা ভবিষ্যতেও চাহিদা মাফিক নির্ধারিত হবে।

এ ব্যাপারে আইনে বিধৃত আছে, এখানে নতুন করে নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করে কীভাবে পরিবর্তন আনা হবে তা পরিষ্কার করা দরকার।

সাধারণ নীতিমালা (২)-এ বাউন্ড রেট সঙ্গতিপূর্ণকরণের বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে শুল্ক হারের কী ধরনের পরিবর্তন আসবে এবং তা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোন কোন খাতে কী ধরনের ইমপ্যাক্ট পড়বে তার ওপর বিস্তারিত স্টাডি হওয়া দরকার। যাতে উদ্যোক্তার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয় এবং সে মতে সে তৈরি হতে ব্যবস্থা নিতে পারে।  

WTO-এর তথ্য অনুসারে   Maximum  ad valorem duty (Bound Rate)-এর আওতায় ৯৩০টি পণ্য রয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশ কৃষিপণ্য।  আমদানি পর্যায়ে আরোপিত Other Duty and Charges (ODC)-সমূহ, যেমন- ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম কর প্রায় সকল প্রকার আমদানির ওপর প্রযোজ্য, ODC-গুলো বাণিজ্য নিরপেক্ষ নয়। ODC-সমূহ বাধ্যতামূলক প্রদানের কারণে Bound rate-এর আওতায় পণ্যের সংখ্যা ১৫০০-এর মতো। LDC graduation পরবর্তী সময়ে WTO-তে নোটিফাইড আইটেম-বহির্ভূত পণ্যসমূহের জন্য নন-কমপ্লায়েন্ট নোটিফিকেশনের সম্মুখীন হতে পারে।

এ নীতির (ক্রমিক নং-৮) এই সম্পূরক শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন করকে বাণিজ্য নিরপেক্ষ শুল্কে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ছয় ধরনের করের মধ্যে চার ধরনের কর বাণিজ্য নিরপেক্ষ নয়। এ করসমূহকে বাণিজ্য নিরপেক্ষ করার জন্য আইনি পদক্ষেপ সমূহ  এবং স্থানীয় শিল্পে তার সম্ভাব্য ইম্প্যাক্ট নির্ধারণ এবং তা করদাতাদের অবহিত করা দরকার হবে। আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম কর এবং অগ্রিম আয়কর যেন বাণিজ্য নিরপেক্ষ হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট আইনসমূহে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আইনসঙ্গত পরিবর্তন আনতে ইউনিভার্সাল সমন্বয় ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আমদানি পণ্যসমূহের ক্ষেত্রে Tariff escalation-এর গড়  হার ৪০%-এর মতো, যার ফলে এসএমই খাতের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি এবং সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা বেশি। এর কারণ হিসেবে কাঁচামালের উৎস হিসাবে কমার্শিয়াল আমদানিকারকদের ওপর নির্ভরশীলতা বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যেখানে প্রদেয় আমদানি শুল্ক এবং ODC সমূহ সমন্বয়যোগ্য নয়। কাস্টমস আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং জারিকৃত এসআরও-সমূহ পর্যালোচনা করে Tariff escalation-এর হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার জন্য আইনের পরিমার্জন করা প্রয়োজন। Anti-Export Bias-এর বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিতে একটি  ধারা থাকা প্রয়োজন, যা ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উল্লেখিত জাতীয় শুল্কনীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

সাধারণ নীতিমালা (৪)-এ উল্লেখিত ব্যবহার ভিত্তিক শুল্ক পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভ্যাট রেজিস্টারড/আইআরসি হোল্ডারস এবং কমার্শিয়াল আমদানিকারকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শুল্ক হার প্রবর্তিত আছে। এটা পরিহার করা হলে এসএমই খাত (৯৯% উদ্যোক্তা) প্রতিযোগী হতে পারবে। কিন্তু কীভাবে এটা সমন্বিত হবে তা পরিষ্কার করা দরকার। শুল্ক নীতিতে (ক্রমিক ১৬) অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে কাঁচামালের ওপর প্রদত্ত সমুদয় শুল্ক ফেরত প্রদানের উদ্দেশ্যে রফতানির জন্য সুবিধাদি, যেমন, ডিউটি ড্র ব্যাক সুবিধা স্বচ্ছ এবং সহজতর করা হবে। বিষয়টি এনবিআর-এর আওতাধীন। ডিউটি ড্র ব্যাক সুবিধা তাৎক্ষণিক এবং স্বয়ংক্রিয়করণের জন্য বিশেষ করে ভ্যাট এবং এসডি অ্যাক্ট ২০১২-এ একটি নতুন ধারা সন্নিবেশিত করা প্রয়োজন হবে। যদিও এটির ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বেসরকারি খাতের দাবি রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

কাস্টমস আইনের শিডিউল-১-এ বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারীর উল্লেখ আছে, যেমন- ভ্যাট নিবন্ধিত আমদানিকারক, আইআরসি নিবন্ধিত আমদানিকারক। বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারকারীর ধরন (ক্রমিক-৪)-এর ওপর ভিত্তি করে শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়, যা উৎপাদন এবং বাজার ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা শুল্ক বৈষম্যের শিকার হয় এবং আমদানি পণ্যের সঙ্গে অপ্রতিযোগী হয়। আইন এবং শিডিউলে কাঁচামাল ব্যবহারকারীর ধরন বাদ দিয়ে একই কাঁচামালসমূহের ওপর আরোপিত শুল্কহার একই করা প্রয়োজন।

এছাড়াও সাধারণ নীতিমালা (৫/৭)-এ উল্লেখিত সময়াবদ্ধ নতুন পণ্যভিত্তিক শিল্প প্রতিরক্ষণের বিষয়ে বলা হয়েছে, তবে কোনও ক্রাইটেরিয়ার ওপর ভিত্তি করে কত সময়ের জন্য কোন কোন শিল্পগুলো  প্রতিরক্ষণ ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা দরকার হবে।

বিশেষ প্রয়োজনে এইচ এস কোড প্রবর্তন করা হয়ে থাকে, কিন্তু আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কিছু পণ্য স্বভাবত একই প্রকার, কিন্তু এইচএস কোড ভিন্ন এবং শুল্ক সমহারে প্রযোজ্য, যেমন (zinc, zinc ingot, imported by IRC holder/others) এসব পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপিত আছে তা গড় শুল্ক গণনার ক্ষেত্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়, যা গড় শুল্ক কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এসব এইচএস কোডসমূহ চিহ্নিত করে জাতীয় শুল্ক নীতির পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে অর্থ আইনের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা প্রয়োজন।

আমাদের বেশ কিছু সংখ্যক পণ্য রয়েছে, যেগুলো কখনোই আমদানি হয় না, সেসব বাদ দেওয়া যেতে পারে। এতে শুল্ক নীতিতে কিছুটা শৃঙ্খলা আসতে পারে।

GATT article III (2)-এর অনুসারে আমদানির ওপর অভ্যন্তরীণ কর এবং অন্যান্য ফি আরোপ না করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এ ক্ষেত্রে কাস্টমস আইনে শুল্ক ও কর নির্ধারণী ধারাসমূহের সঙ্গে সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এবং আয়কর আইনের বিধানসমূহ পর্যালোচনাপূর্বক আইনের ধারাসমূহ পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন, যেখানে প্রত্যেকটা কাজের বিশদ বিবরণ উল্লেখ থাকবে। কবে এবং কারা কোন কাজের জন্য দায়বদ্ধ তার একটা সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রাখা হলে বাস্তবায়ন সুবিধা হতে পারে। এসব কাজকে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি হিসাবে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।

প্রত্যেকটা নীতিমালা আলাদাভাবে উদ্দেশ্য, কর্মপরিকল্পনা, কীভাবে কার্যসম্পাদনা করা হবে, কারা করবে তার বিস্তারিত অনুচ্ছেদ আকারে উল্লেখ থাকলে সবার কাছে বোধগম্য হবে।

সংজ্ঞার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন- সেবা আমদানি এবং শুল্কায়ন পদ্ধতির উল্লেখ রাখা যেতে পারে। উক্ত নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য নীতি বা আইনের সংজ্ঞার সঙ্গে মিল রাখা দরকার। আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক আইন ১৯৫০-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা থাকা দরকার। শতভাগ এবং প্রচ্ছন্ন রফতানিকারকদের পাশাপাশি অন্যান্য রফতানি শিল্পসমূহের জন্য প্রদত্ত বন্ড সুবিধা সহজীকরণ বা অধিকতর সহজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং কারা কীভাবে এই সুবিধা পাবে তার সুস্পষ্ট ধারণা এই নীতিতে থাকা দরকার।

পণ্যসমূহের ক্লাসিফিকেশন (কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, ফিনিশড প্রডাক্ট)-এর ওপর ভিত্তি করে শুল্ক হার নির্ধারণ, শিশু শিল্প বলতে কী ধরনের শিল্পকে বোঝাবে, কী ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে এবং কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।

কৃষি খাত বর্তমানে অনেক ভালো কাজ করছে। তাদের কাজের সুবিধার জন্য অনেক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করার প্রয়োজন হয়। এবং এখানে শুল্কের একটা বিষয় পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং উক্ত নীতিতে এর উল্লেখ থাকা দরকার। Regional ট্যারিফ এবং Country of origin সম্পর্কে কী ধরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার উল্লেখ থাকা দরকার। শুল্কনীতি একটি বেশ ব্যাপক বিষয়, এ ব্যাপারে অন্যান্য দেশের নীতির তুলনা দেখা যেতে পারে। এছাড়া বিস্তারিত আলোচনাও দরকার।

লেখক: সিইও, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ