প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতি বাড়িয়ে উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। এরমধ্যে অগ্রভাগের আঘাতে উপকূলে বৃষ্টি ও বাতাসের বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার আঁচ পেয়ে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার আগ থেকে বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছেন উপকূলবাসী। স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা করছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে তিন হাজার গবাদি পশুকে নিরাপদে নেওয়া
হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ১০০ পুরুষ, ২৪ হাজার ১০০ নারী, ছয় হাজার ৫৬২ শিশু ও ১৩৩ প্রতিবন্ধীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৪৮৩টি গরু/মহিষ, ১১৫৭টি ছাগল/ভেড়া, ৮০টি অন্য প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে।
রিমালকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা করেছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তবে সারাদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন কম গেলেও সন্ধ্যার দিকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শরণখোলা উপজেলার সগির মিস্ত্রি বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম, ঝড় অন্যদিকে চলে যাবে। এ জন্য দিনের বেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসিনি। যতই সময় বাড়ছে আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ির সব কিছু গোছগাছ করে রেখে সন্ধ্যার ভেতর আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।
মোংলার মহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ঘূর্ণিঝড় আসতেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি। পরিস্থিতি যা দেখতেছি তাতে মনে হয় বাড়ি থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হব।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।