বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর অতিক্রম করতে শুরু করছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রবিবার (২৬ মে) রাত ১০টায় মোংলা অতিক্রমকালে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। এ অবস্থা আগামী ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারির মধ্যেই মোংলা ও সুন্দরবন তীরবর্তী উপকূলের বাসিন্দারা রবিবার দুপুর থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যার পর ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রই লোকজনে ভরে যায়। তাদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, এ পর্যন্ত শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী ও পুরুষসহ ২৯ হাজার ৭২২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত এই সংখ্যা বাড়বে। দুর্গতদের জন্য বাগেরহাট জেলা প্রশাসন থেকে নগদ এক লাখ টাকা এবং পাঁচ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই বরাদ্দ এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত। তবে পরে চাহিদা বাড়লে জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ চাওয়া হবে।
এদিকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরজুড়ে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।