খেরসন অঞ্চলের রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের অগ্রসর হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এ স্বীকারোক্তি দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইগর কোনাশেনকভ বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কৌশলগত দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে মস্কোর প্রতিরক্ষা ভেদ করতে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, খেরসনের জোলোটায়া বাল্কা, আলেকসান্দ্রোভকা অঞ্চলের দিকে উচ্চতর ট্যাংক ইউনিটের সাহায্যে শত্রুরা আমাদের প্রতিরক্ষার গভীরতায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।
রুশ বাহিনী কর্তৃক ইউক্রেনীয় সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনেরও দাবি করেন তিনি।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও রুশ বাহিনীর হাত থেকে খেরসনের দুইটি এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেন। তিনি বলেন, তার দেশের সেনাদের সাফল্য শুধু ডনেস্ক অঞ্চলের লিম্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন লয়েডও বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেন। রবিবার সিএনএন-এর ‘ফরিদ জাকারিয়া জিপিএস’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ইউক্রেনের সাফল্যের জন্য দেশটির সেনাদের দক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের সরবরাহকৃত অস্ত্রের কৌশলগত ব্যবহার এবং বিশেষ করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন লয়েড অস্টিন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যা দেখছি সেটি যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতায় এক ধরণের পরিবর্তন। তারা (ইউক্রেনীয় বাহিনী) খারকিভ এলাকায় খুব, খুব ভালো করেছে এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। খেরসন অঞ্চলে লড়াই কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। তবে সেখানেও তারা অগ্রসর হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী হিমার্সের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। তাদের সামরিক সক্ষমতা রুশ বাহিনীকে বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে নিজ দেশের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে তার একটি হলো খেরসন।