অধিকৃত ক্রিমিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার জন্য অবতরণ করেছে ইউক্রেনীয় সেনাদের একটি দল। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এমন দাবি করেছে দেশটি। রুশ হানাদার বাহিনীর আক্রমণের পর এটি দেশটির দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সাসপিলনকে বলেছেন, একটি বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে সেনারা উপদ্বীপে অবতরণ করেছে।
ইউসভ এই মিশনের বিষয়ে বেশি কিছু বলেননি। তবে তিনি দাবি করেছেন, ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ইউসভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, কোনও হতাহতের ঘটনা ছাড়াই মিশন সফল হয়েছে। উপদ্বীপের পশ্চিমে ওলেনিভকাতে সংঘর্ষ হয়েছে। রাশিয়ার সেনাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
কিন্তু মস্কো তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
সাসপিলন জানিয়েছে, তারখানকুটে সংঘর্ষে বিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল। এদিকে রাশিয়ার একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলও ওই এলাকায় সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য দেশবাসী সমাবেশ করেছে। লড়াই সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজির একটি জরিপ অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব বেড়েছে। এটি ইস্টার ও বড়দিনের পরে দেশটির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। কিন্তু তাদের এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।