ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি অচলাবস্থায় পৌঁছেনি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম আরবিসি এক খবরে উল্লেখ করেছে, সেনাপ্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রণক্ষেত্রের পরিস্থিতিকে তিনি অচলাবস্থা বলে মনে করেন কি-না। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘না’।
অপর এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল শীতের সময় ইউক্রেনে পাল্টা আক্রমণ চলমান থাকবে কিনা। যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সংবেদনশীল ইস্যুর কথা উল্লেখ করে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
জালুঝনি বলেছেন, এটি একটি যুদ্ধ। আমার পরিকল্পনা, আমরা কী করতে যাচ্ছি, তা বলতে পারি না। অন্যথায় তা একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হবে, যুদ্ধ নয়।
জুন মাসে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছিল ইউক্রেন। তাদের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত এই লক্ষ্য অর্জনে তারা বড় ধরনের কোনও সাফল্য পায়নি।
নভেম্বরের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধকে দীর্ঘ ও অচলযুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো আমাদের প্রযুক্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তা আমাদের অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত প্রধান অস্ত্র যেমন ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ যা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য খুব জরুরি। সবচেয়ে বেশি দরকার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।’
ওই সময় সেনাপ্রধানের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপপ্রধান ইগোর ঝোভকা। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণকে রাশিয়া নিজেদের বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে অভিহিত করে আসছে। মস্কোর দাবি, ইউক্রেন তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি হওয়ার কারণে দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণ করতে এই অভিযান পরিচালনা করছে। ইউক্রেন ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের দাবি, রাশিয়া উসকানি ছাড়াই একটি যুদ্ধ শুরু করেছে এবং এর লক্ষ্য ভূখণ্ড দখল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সহযোগিতা ও সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো জোটসহ পশ্চিমা দেশগুলো।