ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও ক্ষতি থেকে রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। শনিবার (২৬ মে) সকালে মোংলা সমুদ্রবন্দরের জন্য ১০নং মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং শুরু হয়। সবাইকে নিরাপদে অবস্থানের আহ্বান জানানো হয়।
দুপুর ২টার পর থেকে ঝুঁকিতে থাকা লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খুলনা ও বাগেরহাটের আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৭৯ হাজার লোক আশ্রয় নেন।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুসেইন খান বলেন, খুলনায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার ৩২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ২৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তার জন্য পর্যাপ্ত শুকানো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মোংলা, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জে ২৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বাগেরহাটের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে। সে সব জায়গায় জরুরি মেরামত কাজ করা হয়েছে।