যুদ্ধ থামানোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউক্রেন ও রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
মঙ্গলবার আঙ্কারায় প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী তুর্কি মন্ত্রিসভার বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন এরদোয়ান। বৈঠক শেষে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ইউক্রেন সফরের আগে বুধবার মস্কোতে রুশ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কাভুসোগলু।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন সংকট আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া কোনও পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয় বরং এটি একটি বাধ্যবাধকতা।
বুধবার আঙ্কারায় তার পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গে সাক্ষাতের কথাও জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে দেশের কঠিন সময়ে সংহতি প্রদর্শনের জন্য তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ইউক্রেন। সোমবার সন্ধ্যায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে এক ফোনালাপে নিজ দেশের এমন কৃতজ্ঞতার কথা জানান ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। টুইটারে দেওয়া পোস্টে দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে তুরস্কের প্রচেষ্টা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে গত ১০ মার্চ ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে কথা হয়েছে দুই নেতার। ফোনালাপে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান সংঘাতের একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য তুরস্ক তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান এরদোয়ান। তুরস্কে ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতা ইউক্রেনের সরকার ও জনগণের প্রতি ফের তাদের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবিলম্বে রুশ আগ্রাসন বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সংকট উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। বিদ্যমান সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় তুরস্কের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন বাইডেন।