মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রুশ বাহিনীর কাছে হারানো ভূখণ্ডের ৫০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন। মস্কোর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রবিবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ফরিদ জাকারিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাশিয়া ও পুতিন যা অর্জন করতে চেয়েছিল তা ব্যর্থ ইতোমধ্যে। তারা হেরে গেছে। উদ্দেশ্য ছিল, ইউক্রেনকে তার মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা। দেশটির স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্বকে খর্ব করে রাশিয়ার অংশ করে নেওয়া। তারা অনেক আগেই হেরে গেছে।’
গত জুনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর ঘোষণা দেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এখন পর্যন্ত ছোট ছোট অগ্রগতি হয়েছে তার বাহিনীর। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে লড়াই চলছে। দীর্ঘ দিন প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করা পাল্টা আক্রমণে বিশেষ কোনও সফলতা অর্জন করতে পারেনি দেশটি।
রণাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া যে জায়গা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলে নিয়েছে তা আয়ত্বে আনতে লড়ছে কিয়েভ। প্রাথমিকভাবে ৫০ ভাগ জায়গা ফিরে পেয়েছে দেশটি। ভারী লড়াইয়ে লিপ্ত দুই পক্ষ।
কয়েকদিন ধরে জেলেনস্কিও দাবি করেছেন, মস্কোপন্থি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় আছে কিয়েভ।
তবে মস্কো তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছে জানিয়েছে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমি নিশ্চিত তারা ৫০টি দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তবে যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তাদের অনেকে এখনও লড়াইয়ে পুরোপুরি লড়াইয়ে যোগ দেয়নি। কিন্তু ইউক্রেনীয়রা তাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্র দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছেন কিয়েভ। সূত্র: দ্য হিল