ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিয়েভকে সরবরাহে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসকে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
ন্যাটো সদস্য ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস পাইলটদের পাশাপাশি সহায়ক কর্মীদের প্রশিক্ষণ, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে এফ-১৬ দিতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হওয়ায় ক্রয়চুক্তি অনুসারে যেকোনও ক্রেতা অন্যত্র মোতায়েনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন।
ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর শ্রেষ্ঠত্ব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে। রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান পাল্টা আক্রমণে ধীরগতির জন্য আধুনিক যুদ্ধবিমান না থাকার বিষয়টিকে দায়ী করছেন অনেক বিশ্লেষক।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে নিশ্চিত করেছেন তাদের অনুরোধ অনুমোদন দেওয়া হবে।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, চলমান রুশ আগ্রাসন এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে ইউক্রেনের সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াপকে হোয়েকস্ট্রা বলেছেন, আমরা ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর পথ প্রশস্ত করার জন্য ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, ১১টি দেশের একটি জোট এই মাসের শেষের দিকে ডেনমার্কে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে।
দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রোয়েলস পলসেন জুলাই মাসে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রশিক্ষণ থেকে ফলাফল দেখতে পাওয়ার আশা করছে ডেনমার্ক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মে মাসে এফ-১৬ বিমান পরিচালনায় ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুমোদন করেন। ডেনমার্কে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রোমানিয়ায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা ছিল।