জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ার মতো অশুভ শক্তিকে কখনও বিশ্বাস করা যায় না। সুতরাং, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন শেষ করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বক্তব্য রাখেন জেলেনস্কি। আবেগঘন বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বকে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া থেকে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত মস্কোকে অবশ্যই থামাতে হবে।
ইউক্রেনজুড়ে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন অব্যাহত রাখায় জাতিসংঘে বিশ্ব নেতাদের সামনে কঠোর নিন্দা জানান তিনি। রুশ আগ্রাসন বিশ্বে বিপদ ডেকে আনছে, এ বিষয়ে বক্তৃতায় জেলেনস্কি যুক্তি দেন, ‘মস্কোকে পরাজিত করার পরই কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অন্যান্য অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে।’
ভাষণে জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ‘বিশ্বকে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে রাশিয়া। বিশ্বের অন্য কোনও দেশে যেন আর আগ্রসন না চালাতে পারে তা নিশ্চিতে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কোনও অধিকার নেই। তাদের নিরস্ত্র করতে হবে।’
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যারা নির্বাসিত হয়েছেন তাদের দেশে ফিরতে হবে। দখলদারদের অবশ্যই নিজের ভূখণ্ডে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে এক হতে হবে, আমরা হবো।’
২০২১ সালে ইউক্রেনে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করার পর অনেক ইউক্রেনীয় শিশুকে জোরপূর্বক মস্কোতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ জেলেনস্কির। অনেক শিশুকে অপহরণ করে গণহত্যা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে মস্কোর বিরুদ্ধে।
ইউক্রেন থেকে অবৈধভাবে শিশু অপহরণ এবং জোরপূর্বক নির্বাসনের দায়ে গত মার্চে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরয়োনা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। যদিও অভিযোগ শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন।
উল্লেখ্য, জলবায়ু সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধ ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অধিবেশন উপলক্ষে জড়ো হবেন বিশ্বের ১৪০ জনের বেশি নেতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি। মঙ্গলবার থেকে উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি