উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এটি উপকূলের দিকে যত এগোবে গতিবেগ একটু একটু করে বাড়তে থাকবে। ফলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অফিস।
উল্লেখ্য, ঝড়ের গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘তীব্র’ ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে সেটিকে ‘হ্যারিকেন’ গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রবিবার দিনগত মধ্যরাতের মধ্যে রিমাল তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করে প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। এরপর এটি আরও তীব্র হতে পারে এবং বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার হতে পারে, যা প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ভারতের পূর্বাভাস অনুযায়ী তীব্র ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতি বাড়িয়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এখন রিমালের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকাশে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ হিসেবে এটিকে এখনও তীব্র ঘূর্ণিঝড় বলা যায়।
রিমালের গতিবেগ বাড়তে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। অনেক সময় বৃষ্টি ঝরে গতি কমে যায়। আবার অনেক সময় স্থলভাগের ধাক্কা লেগে গতি বেড়েও যায়।