ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বরিশাল নদীবন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে।
নৌবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, চার নম্বর সংকেতের কারণে আজ রবিবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ১২টি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া রাতে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচলেও এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এরপরও কেউ যাত্রী বহন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক বশির আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সকাল থেকে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪০ কিলোমিটার।
জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল জেলার ১০ উপজেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওইসব কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার এবং গবাদিপশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বিভাগের ছয় জেলায় ৩২ হাজার ৫শ’ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে ৪৭০ থেকে ৪৭২টির মতো মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা দুর্যোগকালে এবং পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন।’