ঢাকা লিট ফেস্টের প্রথম দিনে হয়ে গেল তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ুন পরিচালিত অস্কার-মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’র প্রদর্শনী। বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী শেষে এর নিয়ে ভাবনা, বাংলাদেশে হরর সিনেমা তৈরির অনুপ্রেরণা ও চলচ্চিত্রের বৈশ্বিক সফলতা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন পরিচালক।
পরিচালক মনে করেন, বাংলা চলচ্চিত্রের নিজস্ব পরিচয় এখনো গড়ে ওঠেনি। নিজ অবস্থান থেকে হরর সিনেমা তৈরির মাধ্যমে তিনি বাংলায় হরর সিনেমার পরিচয় দিতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে দর্শকের ভূমিকাও পরিচালকের কাছে গুরুত্ব বহন করে। সবার শৈশবে এমনকি বড় হওয়ার পরও দাদি-নানির কাছে, বাবা-মায়ের কাছে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় ভূতের গল্প প্রাসঙ্গিক। নুহাশ বলেন, ‘আইস ব্রেক করতে ভূতের গল্পের চেয়ে দারুণ কিছু হয় না। ভূতের গল্পের মজার বিষয় হল এটি আপনাকে গল্প বলার স্বাধীনতা দেয়।’
নিজ বক্তব্যের পক্ষে নুহাশ আরও মনে করেন, ‘ভূতের গল্পেই কেবল নিজের খেয়াল-খুশি অনুযায়ী পর্দায় তুলে ধরা সম্ভব। কারণ, ভূতের গল্প বাস্তব নয়!’
মশারি সিনেমাটি আবর্তিত হয়েছে কাল্পনিক পোস্ট-অ্যাপোকেলিপটিক পৃথিবীর দুই বোনকে কেন্দ্র করে। ‘বাঙালি ভ্যাম্পায়ার’এর মশার মত স্বভাব ও চিরায়ত সহোদরের মধ্যকার খুনসুটি মিলে কিছুটা রসের মিশেলে নির্মাণ করা হয়েছে মশারি। নানা দেশে নানা উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি ভিন্ন-রকমের প্রশ্নেরও সম্মুখীন হয়েছে।
পরিচালকের ভাষ্য, ‘কেউ হয়তো ভেবেছে এটি রাজনৈতিক চলচ্চিত্র, কেউ ভেবেছে এখানে পশ্চিমা বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের সংকটকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র, আবার কেউ ভেবেছে এটা নিশ্চয়ই নারীর প্রচলিত সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরছে।’ পরিচালক সব ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন জানান। তবে তার দৃষ্টিতে চলচ্চিত্রটি নির্মাণে তার ছেলেবেলার অভিজ্ঞতাই মূল ভূমিকা রেখেছে।