রুশ উপকথার ‘আইভান’ হাজির হয়েছিলেন বাংলা একাডেমির নভেরা মঞ্চে ফারহানা মান্নান ও তার দলের হাত ধরে। দীর্ঘদিন ধরেই শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি। রাজধানীতে ‘শৈশব’ নামে একটি প্রি-স্কুলও রয়েছে তার। সেশনে তারা শিশুদের সঙ্গে খেললেন, খেলার ছলে শেখালেন। সেই সঙ্গে অভিভাবকদেরও বার্তা দিলেন কেমন শৈশব উপহার দিতে হবে আমাদের শিশু-কিশোরদের।
ঢাকা লিট ফেস্টেরর চতুর্থ দিন রবিবার (৮ জানুয়ারি) 'শৈশব' শীর্ষক এই সেশনে সঞ্চালক ও পারফর্মার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারহানা মান্নান এবং পুরো আয়োজনে তাকে সাহায্য করেন সজল ও দিশা।
এক ঝাঁক কচিকাঁচার উপস্থিতিতে সেশনের সূচনায় ফারহানা মান্নান সবাইকে নিয়ে করেন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম। তিনি সবাইকে মনে করিয়ে দেন যে, খেলার আগে এমন ব্যায়াম মস্তিষ্কে যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করে। শিশুদের খেলার মাঝে থাকতে হবে সৃজনশীল চিন্তার প্রকাশ, শরীর সঞ্চালনা এবং শেখার উপকরণ।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্প ও গণিত এই তিনটি বিষয়ের ইংরেজি পরিভাষার আদ্যক্ষর দিয়ে এক্রোনিম S-T-E-A-M তিনি শেখান উপস্থিত সকলকে। শিশুদের খেলার প্রক্রিয়ায় যেন এই পাঁচটি বিষয় থাকে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন সঞ্চালক। পাপেটের মাধ্যমে এই পাঁচটি বিষয়কে চরিত্রের আকারে শিশুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সজল ও দিশা।
পুরো সেশন জুড়ে রুশ উপকথার আকর্ষণীয় উপস্থাপনা করেন ফারহানা মান্নান। কাদামাটি বা ক্লে-ডো দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির স্থাপনার মডেল তৈরি করতেও শেখান তারা। শিশু-কিশোরদের মঞ্চে নিয়ে একসঙ্গে গলা মিলিয়ে 'আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে' গাইতে গাইতে সেশন শেষ করেন ফারহানা মান্নান।