দুই মাস ২৭ দিন পর চালু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনটি। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এই স্টেশনটি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
শুক্রবার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের চলাচলের মধ্যবর্তী সময়) ১২ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট করা হবে। এতে করে ৬০টির পরিবর্তে ৭২টি ট্রেন চলাচল করবে।
মেট্রোরেলের আয় তুলে ধরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অক্টোবরে প্রথম ১৩ দিনে আয় হয়েছে ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অক্টোবরে চার দিনে ছুটি থাকায় রাজস্ব আয় একটু কম হয়েছে। বর্তমানে মেট্রোরেলের দিনে গড়ে আয় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের পর এটির লাভ-ক্ষতি নিয়ে তথ্য বলা যাবে। তখন পুরোপুরি কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।
এই দুটি মেট্রোরেল স্টেশন সংস্কারে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এক বছর সময় লাগবে বললেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাসের মধ্যেই দুটি স্টেশন চালুর উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়েছে।