কোটা সংস্কারের ইস্যুতে দুপুর ২টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে মিছিল ডাকে ছাত্রলীগ। কিন্তু বৃষ্টি থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মিছিল শুরু হয় দেরিতে। মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বক্তব্য দেওয়ার সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের হাতাহাতি হয়।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে সভাপতি বক্তব্য দিতে শুরু করলে তার অনুসারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বারবার স্লোগান থামাতে বললেও তারা থামেননি। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের উদ্দেশে সাদ্দাম বলেন, সংগঠন কি মামাবাড়ির আবদার? সংগঠন করার জন্য দরকার শৃঙ্খলা! সেটার কী অবস্থা সেটাই দেখতে পাচ্ছি! সংগঠনের শৃঙ্খলা মানছো না, স্লোগান বন্ধ করতে বললে করছো না।
এসময় নেতাকর্মীদের বসতে বলে তিনি তাদের প্রশ্ন করেন, খেলা যদি মিরপুর স্টেডিয়ামে হয়, সিলেট স্টেডিয়ামে গিয়ে লাভ আছে? কোটা সংস্কারের রায় হাইকোর্ট দিয়েছে, সেই হাইকোর্টই স্ট্যাটাস ক্যু দিয়েছে (রায় স্থগিত করেছে)। সেই ফয়সালা আদালতে হবে। কিন্তু তারা রাস্তা বন্ধ করে ব্লকেড ব্লকেড খেলছে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হয়েছে, সেখানে কেন অবরোধ হয়েছে? ছাত্রলীগ জনদুর্ভোগে বিশ্বাস করে না।
এসময় তিনি ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে বলেন, এই আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। এখানে একদল সমর্থন সমর্থন খেলছে। আগে তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলতো। আপনারা কাকে ভয় দেখান? ছাত্রলীগ রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন! রাজপথের রাজা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ কাউকে ভয় পায় না।
বর্তমানে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালনকারীরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে বিতর্কিত করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখা সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত, মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে।
হাতাহাতি শুরু হলে শয়নের হাত থেকে মাইক নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। এসময় মঞ্চ থেকে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত।