রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাঊদসহ প্রশাসনের ২৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত তারা নিজ নিজ দফতরে এসে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকালে বিদায়ী প্রশাসনের একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানের ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ধরেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য, প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টা ছাড়াও পদত্যাগপত্রে সই করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন– পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, হিসাব পরিচালক অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিন, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র রায় এবং অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক মশিহুর রহমান ও অধ্যাপক আব্দুর রশিদ সরকার, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এ এম শহিদুল আলম, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম সাগর, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, টিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন, রাকসু কোষাধ্যক্ষ ড. জাফর সাদিক, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আতাউর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
এ ছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির সব সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন– ড. মাহফুজুর রহমান, ড. পুরনজিত মহালদার, ড. হাকিমুল হক, ড. জহুরুল আনিস, ড. সাইকা কবীর নীতু, ড. হামিদুল হক, ড. জাকির হোসেন, ড. কনক পারভেজ, ড. রতন কুমার, ড. কামরুজ্জামান ও ড. আল মামুন।
বিদায়ী প্রশাসনের সূত্রটি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দফতর বন্ধ থাকায় তারা নিজ নিজ দফতরে এসে পদত্যাগ পত্রে সইরের পর সিলগালা করে কর্মকর্তাদের হাতে জমা দিয়েছেন। অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে তা পাঠিয়েছেন। রেজিস্ট্রার দফতর খোলা হলে এসব পদত্যাগপত্র নিয়মানুযায়ী সেখানে চলে যাবে। এ ক্ষেত্রে যিনি যখন থেকে পদত্যাগ করেছেন সেই সময় থেকেই তার পদত্যাগের বিষয়টি কার্যকর হবে।