পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দর্শনার্থীরা যাতে কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য কাজ করবে তারা।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু ঘিরে নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠছে নতুন নতুন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট। এসব ঘিরে সমৃদ্ধ হবে পর্যটন শিল্প। সেতু খুলে দেওয়ার পর বহু পর্যটকের আগমন ঘটবে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু ঘিরে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরের দুই পাড়ে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে বিনোদনকেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তের চার ইউনিয়নের নিরাপত্তায় কাজ করবে সেতুর দুই প্রান্তে নির্মিত দুই থানা পুলিশ। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় পদ্মা সেতু দক্ষিণ ও পদ্মা সেতু উত্তর থানা। ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানা দুটির উদ্বোধন করেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে শোভাযাত্রা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সীগঞ্জ ‘পদ্মা সেতু জোন’ এ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।
শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সুফিয়ান, সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোমেনা আক্তার ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সীগঞ্জ ‘পদ্মা সেতু জোনের’ ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দেশ-বিদেশের যেসব পর্যটক ও দর্শনার্থী এখানে আসবেন তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পদ্মা সেতু এলাকায় চারটি ট্যুরিস্ট পয়েন্ট আছে। এসব পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে গাইডলাইন, চিকিৎসাসেবা ও নিরাপত্তা পাবেন দর্শনার্থীরা।’
মুন্সীগঞ্জ ট্যুরিস্ট পুলিশের ‘পদ্মা সেতু জোনের’ ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুর দুই পাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিমুলিয়া ৩ নম্বর এবং ১ নম্বর ফেরিঘাটে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।’
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা উত্তর থানার উদ্বোধনের পরই আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছি। সেতু উদ্বোধনের পর এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় কোনও যাত্রী সমস্যার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হবে। সেতুতে কারা যাতায়াত করছে সে বিষয়টিও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। গত দুদিনে থানায় কোনও অভিযোগ আসেনি।’
