কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এমপি যেই প্রার্থীর ‘এজেন্ট’ হয়েছেন নির্বাচনের পর জানা গেলো সেই প্রার্থী তার জামানতই রক্ষা করতে পারেননি।
জানা গেছে, বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের মেয়ে খাদিজা বিনতে রোশন দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নির্বাচনি প্রধান এজেন্ট ছিলেন দেবিদ্বারের দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৩০৩ ভোট। অপরপক্ষে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ ৯২ হাজার ৫২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা বেগম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৮০ ভোট।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দোয়াত কলম প্রতীকের প্রধান এজেন্ট হয়ে উপজেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও খাদিজা বিনতে রোশনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি সাবেক এই সংসদ সদস্য। দোয়াত কলমে ভোট পড়েছে মাত্র ৩০৩। আমাকে ফেল করানোর জন্য তিনি প্রকাশ্যে কাজ করেছেন। আমার নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। জনতার রায়ে সব স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যারা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পাননি তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একজন ভোটার হিসেবে যে কেউ তার পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট হতে পারেন। তা ছাড়া তিনি (রাজী মোহাম্মদ ফখরুল) তো বর্তমান এমপি না।’
উল্লেখ্য, একটি নির্বাচনি এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা ১৫ ভাগ ভোট যদি কোনও প্রার্থী না পান সেক্ষেত্রে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসেবে দোয়াত কলমের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।