চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (৫ জুন) সকালে শেরপুর উপজেলার ফুলবাড়ি হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও চকপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি কম। দুই ঘণ্টায় ৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রিসাইডিং অফিসাররা বলছেন, বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নন্দীগ্রামের বীরপলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ধুনট উপজেলায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক টি আই এম নুরুন্নবী তারিক, সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আসিফ ইকবাল ও সিনিয়র সহসভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন।
এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯০টি কেন্দ্রে ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন।
শেরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী হলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ জামাল সিরাজী, সুলতান মাহমুদ, রুবেল আহমেদ, এম এ হান্নান ও জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০৭টি কেন্দ্রে ভোটার ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৭৩ জন।
নন্দীগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, আনোয়ার হোসেন রানা, নজিবুল্লাহ মজনু মণ্ডল ও মাহমুদ আশরাফ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ৪৯ কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ জন।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পিএম) ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন উপজেলায় ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতিটি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছেন। র্যাব, সাদা পোশাকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।