জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের পর পরাজিত পাঁচ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। সেই সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও জামানত হারাচ্ছেন আরেক প্রার্থী।
উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাবেকুন নাহার শিখা যা ভোট পেয়েছেন পাঁচবিবির পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা মিলেও সে পরিমাণ ভোট পাননি। ঘোড়া প্রতীকে সাবেকুন নাহার শিখা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩০৯ ভোট। বাকি পাঁচ প্রার্থী সবাই মিলে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯৯ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয় তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল অনুযায়ী পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাতে যাচ্ছেন। একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৬৪৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ২ হাজার ৬১৮ জন। মোট ৬৯টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৮১৪টি। ভোটের হার ৩৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এখানে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১২ হাজার ১২২ ভোট। যা পাননি ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে সাবেকুন নাহার শিখা ঘোড়া মার্কা প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮০০ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন আনারস প্রতীক পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া চতুর্থ হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জাহিদুল আলম বেনু। কই মাছ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ১৭০ ভোট। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কুসুম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন মণ্ডল পেয়েছেন ৪ হাজার ৬ ভোট। তার প্রতীক ছিল দোয়াত-কলম। ষষ্ঠ হয়েছেন পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ জাফর চৌধুরী। টেলিফোন প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭৬ ভোট।
উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন একজন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭৩৮টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১২ হাজার ৭৩৮ ভোট পাননি মৌসুমী আকতার নামের এক প্রার্থী। এখানে রেবেকা সুলতানা ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৪১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজিনারা টুনি বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯০৩ ভোট।
আরও পড়ুন: