সারা দেশে চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা মাঝে রাজপথে মেনে আসেন কোটা আন্দোলনকারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। চলতে থাকে দফায় দফায় সংঘর্ষ। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো মিরপুরও রয়েছে উত্তাল।
মিরপুর ১০ নম্বরকে কেন্দ্র করে চারপাশেই চলছে সংঘর্ষ। পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এরই মধ্যে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ওপরে। শিক্ষার্থীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে প্রতিবাদ জানান।
এই সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুলিশও রয়েছে। আহতদের প্রসঙ্গে ডা. আজমল হোসেন হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা হোসাইন বলেন, ‘আমি দুপুর ২টা থেকে ডিউটিতে আছি। বিকাল ৫টা নাগাদ আমরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছি। আর আমার জানামতে, সকাল থেকে হিসাব করলে এই সংখ্যা শতাধিক হবে। এরমধ্যে একজন পুলিশও এসেছিলেন, তাকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
তিনি জানান, যারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। এছাড়া কারও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত, কারও মাথা ফাটা, আবার বিভিন্ন জায়গায় কেটে যাওয়া রোগীরা এসেছেন। তাদের শরীরে লাঠির আঘাতও ছিল।
ডা. ফাহমিদা হোসাইন বলেন, ‘এখানে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। তবে একজনের অবস্থা সিরিয়াস, তিনি এখন আমাদের ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।’
ছবি: আসাদ আবেদীন জয়