উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সাদা পোশাকের একাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা গেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এসময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে কার গুলিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা চিহ্নিত করা যায়নি।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শুধু টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এমনকি শটগানের গুলিও (ছররা গুলি) ছোড়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আহাদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিকালে মাইলস্টোন কলেজের পাশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে অন্যরা নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকালে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ওই এলাকার বিভিন্ন গলিতে আশ্রয় নেয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জমজম টাওয়ারের সামনের সড়কে পুলিশের অবস্থান রয়েছে। এলাকায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরও অবস্থান রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থানও দেখা যায়।