একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত ও দলটির ছাত্র সংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা আসবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির মধ্যে অস্বস্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এও মনে করেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য ইতিবাচক।
‘অস্বস্তি ও সন্দেহ’
সোমবার (২৯ জুলাই) ১৪ দলের বৈঠকের পর জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের তৎপরতা শুরু করার বিষয়টি সামনে আসে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পেছনে জামায়াত ও শিবিরের ভূমিকা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে কোটা আন্দোলনে সহিংসতার জন্য সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হবে।’
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা ও দায়িত্বশীল আলাপকালে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মাত্র চার দিন (২৬ জুলাই) আগে জামায়াতসহ ডান-বাম ও ইসলামি দলগুলোকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানায় বিএনপি। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলের সমন্বিত আন্দোলনের সম্ভাব্য ইঙ্গিত মেলায় সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
কোনও কোনও নেতা বলছেন, ‘বিএনপি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানায় চার দিন আগে। আর জামায়াত তাতে সমর্থন জানায় আজ মঙ্গলবার বিকালে। এক্ষেত্রে সন্দেহাতীতভাবে প্রশ্ন আসে, সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কেন জামায়াত সমর্থন দিলো।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘‘বিএনপি মহাসচিব ‘জাতীয় ঐক্যের’ যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং ‘জাতীয় ঐক্যে’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যোগদানের বিষয়ে আমরা সম্মতি জ্ঞাপন করছি।’’
দলের একজন দায়িত্বশীল জানান, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে বিএনপি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে দেখবে। নিষিদ্ধ দল নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। যে কারণে সরকারি সিদ্ধান্তের আগে প্রকাশ্যে মন্তব্য করবে না বিএনপি।
দলের একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতার দাবি, ‘বিএনপি যাদের ট্র্যাপে পা দিয়ে লিখিতভাবে জামায়াতসহ জাতীয় ঐক্য চেয়েছে, তারা কোনোভাবেই বিএনপির ভালো চায় না।’
মঙ্গলবার বিকালে আলাপকালে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জামায়াতসহ ঐক্যের বিষয়ে সিনিয়র নেতারা একেবারে অন্ধকারে। এমনকি যে চিঠি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, তার স্বাক্ষর নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
২৬ জুলাই পাঠানো বিবৃতিতে সই করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিএনপির একাধিক নেতার দাবি, জামায়াতসহ ঐক্যের আহ্বানের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার সরাসরি ভূমিকার কারণে ধর্মভিত্তিক ঘরানার দলগুলো আবারও বিএনপির প্রতি প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন একাধিক নেতা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
‘বিএনপির জন্য ইতিবাচক’
তবে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ জামায়াতকে নিষিদ্ধের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। কারও মন্তব্য, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি সেটেল হবে। নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে রাজনীতি ইতিবাচক হবে।’
কোনও কোনও সিনিয়র নেতার ভাষ্য, ‘নিষিদ্ধের বিষয়টিতে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে। রাজনৈতিকভাবে যে দায় নিয়েছিল দলটিকে বহন করে, সেটিরও সমাপ্তি ঘটবে’ বলে মনে করেন এই নেতা।
‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির প্রথম সখ্য তৈরি হয় ১৯৯১ সালে সরকার গঠনের সময়। ১৭টি আসন পেয়ে বিএনপিকে সমর্থন করার পরই দলের হাইকমান্ড তাদের আস্থায় নেন।’ এভাবেই দুই দলের সখ্য সৃষ্টির শুরুর কথা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য দলের ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৯৯ সালে জামায়াতসহ চারদলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। ২০০১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জামায়াতকে সরকারেও যুক্ত করে দলটি।
দলের নেতারা জানান, ২০১৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক জোটবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় নেন বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য সম্পর্ক কমাতে শুরু করে বিএনপি। ওই বছরের আগস্টে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা। যদিও ওই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ধানের শীষ মার্কা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পর্কে আবারও উষ্ণতা ফিরে আসে উভয়পক্ষে। নির্বাচনের পর ধীরে ধীরে আবারও ঘনিষ্ঠতা কমিয়ে আনতে শুরু করে বিএনপি।
নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জোটসঙ্গী জামায়াতকে নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে বিএনপি। ওই পর্যালোচনায় স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য জানিয়েছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর গুরুত্ব অনেকাংশেই কম। সে কারণে জামায়াতের সঙ্গে বিদ্যমান জোটগত সম্পর্ককে নতুনভাবে দেখা প্রয়োজন। এক সদস্য ২২ পৃষ্ঠায় একটি বিস্তারিত পর্যালোচনাও উত্থাপন করে বৈঠকে।
গত বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে প্রকাশ্য সম্পর্ক দেখা যায়নি। যদিও নির্বাচনের পর বিএনপির সঙ্গে সখ্য তৈরি করে জামায়াত। উভয় দলের শীর্ষনেতাদের মধ্যে সাক্ষাৎ, আলাপ অব্যাহত থাকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২৬ জুলাই সরকারের বিরুদ্ধে জামায়াতসহ সব বিরোধী দলকে ঐক্যের আহ্বান জানায় বিএনপি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে সর্বপ্রথম বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আহ্বান জানান। এরপর বিএনপি মহাসচিব বিভিন্ন সময় তাকে উদ্ধৃত করে রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। এমনকি এ বছরের ২৯ জুন নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত সমাবেশেও মির্জা ফখরুল বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তিকে পৃথকভাবে না দেখার আহ্বান জানান।’
প্রকাশ্যে যা বলছে বিএনপি
কোটা আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতেই এটা (জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের উদ্যোগ) সরকারের একটি প্রকল্প হিসেবে দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এই যে আপনি প্রথমেই বললেন, সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে সেই ইস্যুকে ডাইভারশনের দিকে নিয়ে যায়… এখন আবার এটাকে তারা… আরেকটি তাদের প্রজেক্ট। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের এটা ঘোষিত কর্মসূচি, আমাদের আদর্শ হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র। পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাম রাজনীতি যারা করতেন, মির্জা গোলাম হাফিজ থেকে শুরু করে… হাজী মোহাম্মদ দানেশ, তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন…ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। প্রায় দুই বছর সেখানে থেকে তারপরে তারা ফিরে আসেন, যখন উইথ ড্র করা হলো তখন আবার তারা দেশে ফিরে এসেছিলেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা (সিদ্ধান্ত) যারা স্বৈরাচারী, যারা আপনার ডিক্টেটরস, যাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না, তারা এই ধরনের বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এগুলো তাদের নিতে হয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে। কেন এতদিন নেয়নি তারা? আজকে এখন নিচ্ছে কেন? এগুলোর পেছনে তাদের অনেক যুক্তি থাকবে, অনেক কথা ওরা বলবে, আমরা যে কথাগুলো বলছি—তার বিপক্ষে তারা অনেক কথা বলবে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলি যে আমাদের বক্তব্যে আমরা খুব পরিষ্কার। আমরা বিশ্বাস করি, বহুদলীয় গণতন্ত্রে যারা যারা এখানে রাজনীতি করে, তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার ‘
কী করবে জামায়াত-শিবির?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে’র কারণ দেখিয়ে হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করা হয়। এবার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলে তা হবে দ্বিতীয় কোনও দল, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা, সহিংসতা, নাশকতার অভিযোগে অভিযুক্ত।
সরকারের এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ‘বেআইনি’ ও ‘অসাংবিধানিক’।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঠানো বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রচলিত সংবিধান মেনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে আওয়ামী সিদ্ধান্ত, তা সম্পূর্ণ বেআইনি, জাতি বিধ্বংসী, এখতিয়ারবহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি।’
নিষিদ্ধ করার এই পরিস্থিতিতে জামায়াত ও শিবির কী করবে—এমন প্রশ্নে জামায়াতের কোনও নেতার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নাম উদ্ধৃত না করার শর্তে একজন আঞ্চলিক পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার (১৩টি অঞ্চলে বিভক্ত সদস্যদের) বৈঠকে নতুন নাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ফলে, নতুন নামে আসাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ তবে দল কী করবে, তা এখনও বলতে পারেননি এই সদস্য।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে জামায়াত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি’। দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মো. কাজী নিজামুল হক। চাঁন ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেক্রেটারি কাজী নিজামুল হক ছাত্রশিবিরের ঢাকা আলিয়া শাখার সভাপতি ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্ম পরিষদের সদস্য হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর মামলায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:
নতুন নামে দল আনছে জামায়াত, নিবন্ধনের প্রস্তুতি
জামায়াতসহ ডান-বাম সব দলের জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্যের
বিএনপিকে ছাড়তে চায় না জামায়াত, নাম বদলের প্রস্তাব শুরা সদস্যদের