বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিরোধী দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচিতে ‘পুলিশের হামলা’ ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কর্মসূচিতে ‘পুলিশের হামলা’ ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান মঞ্চের নেতারা।
আজ ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি ছিল, সেখানে সরকার তার ‘পেটোয়া বাহিনী’ দিয়ে হামলা করেছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, তারা অতীতের কায়দায় নিজেরা বাসে আগুন দিয়ে আন্দোলনকারীদের অগ্নিসন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে হামলা করে। সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করেছে। তারা পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মীদের লাঠি নিয়ে পিটিয়েছে। আজকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর এরকম হামলায় সরকারের দুর্বলতা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বসছেন, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে বসে সমন্বয় করে অচিরেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ঢাকার প্রবেশের পাঁচটি পয়েন্টে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে গাবতলী মাজার রোডের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুকে এবং অন্যান্য নেতাদের দারুসালাম থানায় নিয়ে গিয়েছে। আমরা দেখলাম বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে আহত করেছে, আবার কিছুক্ষণ পরে ডিবি অফিসে আদর যত্ন করে খাওয়াচ্ছে। আমান উল্লাহ আমানকে গ্রেফতার করেছে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে তাকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব ফল নিয়ে দেখতে গিয়েছেন। সরকার কী খেলা শুরু করেছে, আমরা জানি না। তবে এটা পরিষ্কার করে জানি, কোনও খেলায় এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। সরকারকে এবার বিদায় নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার পর বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে করতে বসবো। আলোচনা করে আগামীকাল থেকে আমরা ঢাকাতে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করবো। সেই কর্মসূচিতে আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে। এই সরকারকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত থাকবে।’
ভাষানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভুইয়াসহ অন্যান্য নেতারা। সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মশাল মিছিল করে পল্টনে গিয়ে তা শেষ করে।