রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে ছয় জন চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতরা হলেন– মহিউদ্দিন রুবেল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম আলম (৩৮), ইকরামুল হক (৩০), মেহেদী হাসান (২৯), ওবায়দুল হক (২৮) ও আব্দুল আজিজ মাহমুদ (২৬)। তারা সবাই ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ধোলাইখাল থেকে ছয় জন ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবার শরীরে শটগানের গুলি রয়েছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, জাকিরুল আলম কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সভাপতি, এনামুল হক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক, মেহেদী হাসান আবির কবি নজরুল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল আজিজ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও ওবায়দুল হক যুবদলের কর্মী।
এর আগে রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার পর সড়ক ছেড়ে সরে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। পরে সড়কের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।
এর আগে রাজধানীর নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশমুখ) মোড়ে বিএনপি অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও এর বদলে ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয় দলটি। এই মোড়ে বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। জবাবে ইট-পাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা।