ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন এক যুবককে পিস্তল হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করতে দেখা যায়। এসময় এক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাবির শহিদুল্লাহ হলের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় এ ঘটনা দেখা যায়। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে- কে এই অস্ত্রধারী যুবক?
জানা যায়, তার নাম হাসান মোল্লা। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। ঢাকা কলেজে ২০০৬-৭ সেশনে শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড, গৃহায়ণ ও গণপূর্তের অন্যতম ঠিকাদার তিনি।
হাসান মোল্লার চাচা মোল্লা আবু কাওসার ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। ক্যাসিনো কান্ডে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সূত্র জানায়, হাসান মোল্লা চাচার আধিপত্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাকে ঠিকাদারি কাজ না দিলে মারধর ও গুলি চালাতেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মানুষকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহকর্মী বলেন, হাসান মোল্লা দুটি বন্দুক ব্যবহার করেন। তবে কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। মূলত তার ঠিকাদারি ব্যবসা চালাতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেন। কোনও প্রতিষ্ঠান তাকে টেন্ডার দিতে না চাইলে সংশ্লিষ্টদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এর আগেও কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ করেছেন অস্ত্রধারী হাসান। ঠিকাদার ব্যবসা করে তার দুটি রিসোর্ট, চারটি ফ্লাটসহ কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি।