চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মী। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৫ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস প্রথমে কনটেইনার ডিপোতে যায়। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মী মারা যান এবং সাত জন আহত হন। মৃত পাঁচ জনের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘জ্বলন্ত কনটেইনারে পানি নিক্ষেপ করতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খুব কাছ থেকে পানি নিক্ষেপ করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অন্যরা দগ্ধ হন। কনটেইনার বিস্ফোরিত হওয়ার পর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে আরও দুই জনের কাপড়চোপড় ও জুতা দেখে মনে হচ্ছে তারাও ফায়ার সার্ভিসের লোক। কিন্ত তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজ আছেন ফায়ার সার্ভিসের আরও পাঁচ জন। এ ছাড়া ১৫ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ভর্তি আছেন সিএমএইচএ।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে তীব্রতা কিছুটা কমেছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। সেসব কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ ছিল।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১০টার দিকে বিকট শব্দে কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।