ইভিএমে ভোট নিয়ে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ইভিএমের কারণে ভোট ধীরগতিতে চলছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভোটাররা। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) ১২ নম্বর ওয়ার্ড নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি পরিদর্শনে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ইভিএম মেশিন নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। মেশিনগুলো অনেক স্লো। কিছু জায়গায় মেশিন নষ্ট হয়ে পড়েছে। ত্রুটিপূর্ণ মেশিনের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের একজন ঠিকাদার পুলিশকে দিয়ে আমার মহানগর যুবদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করিয়েছেন। ইভিএমে যদি কারচুপি না হয় আল্লাহর রহমতে আমি জয়লাভ করবো। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট রয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ।
এরআগে, ভোট শুরুর পর পরই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে মেয়র পদে হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে নগরীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এবার তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)। এ ছাড়া সিটির ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা মনে করছেন, মেয়র পদে মূল লড়াইটা হবে আইভী ও তৈমুরের মধ্যে।