জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পালিত হলো ‘দ্রোহযাত্রা’ সমাবেশ। এসময় তারা গান-কবিতা-পথনাটক পরিবেশন করেন, দিতে থাকেন সরকারবিরোধী স্লোগান।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুপুর আড়াইটা থেকে তারা জড়ো হতে থাকেন। পরবর্তীতে তারা গিটার ঢোল বাজিয়ে গান পরিবেশন করেন। ‘জনতার বৃষ্টি’ নামে পথনাটকও পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের সবাইকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা সহিংসতা চালাতে চায় তাদের ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। সরকার এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্তের চেষ্টা করছে। তার থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশের তিন বছরের বাচ্চা থেকে শ্রমজীবী-পেশাজীবী সবার ওপর আক্রমণ আসছে। জমিন থেকে আক্রমণ আসছে, আকাশ থেকে আক্রমণ আসছে। গুলিতে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের মা-বাবারা হাহাকার করছেন। হাজার হাজার আহত হয়েছেন, তাদের মা-বাবারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
তিনি আরও বলেন, এই জুলাইয়ে যেরকম হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, আমরা ৫২-এর পর থেকে অনেক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, কিন্তু মাত্র কয়েক দিনে এরকম হত্যাযজ্ঞ কেউ করেনি, এত রক্তপাত কেউ করেনি। সরকার ভেবেছিল এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালে আন্দোলন দমে যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশে শিক্ষক-অভিভাবক নাগরিক সমাজ পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা তাদের সমাবেশ শেষ করে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যান। সমাবেশ চলাকালে প্রেস ক্লাবের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।