আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের দাবির সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ হয়। তবে শাহবাগ মোড় ছিল ফাঁকা। বিকাল ৪টার পর হঠাৎ পাল্টে যায় সেখানকার পরিবেশ। শাহবাগ মোড়ের একপাশে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এসময় শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা সরে যান।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শোক দিবসের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণমিছিলের সময় শাহবাগে ছাত্রলীগের একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তারা। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের ছাত্রলীগের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে আন্দোলনকারীরা। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গণমিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর মধ্যে কয়েকজন আন্দোলনকারী জাতীয় জাদুঘরের সামনে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
শাহবাগ থানার আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করতে দেখা গেছে।
‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গণমিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকেও মিছিল বের হয়। দুপুর ২টার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সাইন্স ল্যাব মোড় প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড় ঘুরে আবার সায়েন্স ল্যাব হয়ে সিটি কলেজ ও ল্যাবএইড হাসপাতালের মোড় ঘুরে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয়। পরে মিছিলটি শাহবাগ মোড় আসে।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজ শাখা। এতে সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিসহ আরও কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিহত-আহতের ক্ষতিপূরণ, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও তাদের ৯ দফা দাবি আদায়ে সরকারের কাছে দাবি জানান। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যরা অবস্থান নেন। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদেরও দেখা যায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাহবাগের চারদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।