দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের প্রার্থী ছিলেন সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে গামছা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নিয়মানুযায়ী, কোনও আসনে পড়া মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ কারণে নকুল কুমার বিশ্বাসের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
ঘোষিত ফলাফল শেষে দেখা যায়, মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) তাহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আবদুস সোবহান গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। সেখানে গামছা প্রতীকে নকুল কুমার পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ফলোয়ার আছে ১৯ লাখ। ফেসবুকে বিরাটসংখ্যক ফলোয়ার থাকলেও এত কম ভোট পাওয়ায় আশ্চর্য হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আতিকুর রহমান নামে এক ভোটার বলেন, ‘তিনি ভালো সংগীতশিল্পী এবং অনেকের প্রিয়। তবে তার নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হয়নি।’
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নকুল কুমার বিশ্বাস। ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, তাকে অনেক ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি পুনরায় নির্বাচন চান।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, মাদারীপুরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে নকুল কুমার বিশ্বাস ২৬৩ ভোট পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, এই আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট । এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আবদুল খালেক পেয়েছেন ৫৩৩ ভোট। তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে প্রবীণ হাওলাদার পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীক নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকের নিতাই চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৩ ভোট।