গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ আজকে রাস্তায় নেমে এসেছে। আন্দোলন আরও বিস্তৃত হচ্ছে। কাজেই অতিসত্ত্বর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন। দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে অচলাবস্থা দূর করুন।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভিভাবকদের নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা।’
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সমর্থনে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নেতারা বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের আলোচনার টেবিলে ডেকেছে। কিন্তু এই ডাক না ডেকে সরকার সংসদে আলোচনা তুলতে পারতো! এতজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু কি সরকারের কাছে কোনও প্রভাব ফেলছে না!’
‘প্লাটুন প্লাটুন বিজিবি নামিয়ে, পুরো দেশে পুলিশ ও হেলমেটবাহিনীর তাণ্ডব বজায় রেখে এই আলোচনা কার্যত ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে একমাত্র বাহিনীগুলোকে উইথ্ড্র করা হলে এবং দমন-পীড়ন বন্ধ করার মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। দেশবাসী জানে, সময়ক্ষেপণ করার পর ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করার ইতিহাস এ সরকারের আছে। তাই দেশের ছাত্রসমাজ সচেতন।’
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান প্রমুখ।