ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার নির্বাচন থেকে সঙ্গত কারণেই দেশের জনগণকে বিরত থাকতে হবে। রবিবার (৬ জানুয়ারি) প্রহসনের নির্বাচনে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এদিন বিকালে বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে জনসভায় বলেছেন, ‘ভারত আছে তো আমরা আছি।’ আরেক প্রার্থী বলেছেন, ‘আমি শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রার্থী।’ এ ধরনের বক্তব্যের পর যখন কোনও প্রতিবাদ করা হয় না, তাহলে সহজেই বুঝা যায়— এ বক্তব্য খোদ আওয়ামী লীগের বক্তব্য। ভারত আছে তো আমরা আছি এবং ভারতের প্রার্থী বলার পর বুঝা যায়, দেশ এখন আর আমাদের হাতে নেই, পুরোপুরি ভারতের কব্জায়।’’
চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালে করলো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন, ২০১৮ সালে করলো রাতের ভোট, আর ২০২৪ সালে এসে করছে ডামি নির্বাচন। অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কোনোভাবেই ভোট বলা যাবে না। কারণ, কোন দল সরকার গঠন করবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সব ম্পষ্ট। কোন আসনে কে বিজয়ী হবেন, তার তথ্যও স্পষ্ট। এ জন্য এটাকে ভোট বলার সুযোগ নেই। এ কারণে এই ভোটে কাউকে নির্বাচিত করার, বা কাউকে হারিয়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সবকিছু আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে আছে। এবারের ভোটে নৌকাকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। নৌকা, নয়তো নৌকার স্বতন্ত্র প্রার্থী বা নৌকা সমর্থিত জাতীয় পার্টি, অথবা আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোনও প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। দিন শেষে ভোট এক জায়গাতেই যাবে। কাজেই এটাকে নির্বাচন বলার কোনও কারণ দেখি না। ৭ জানুয়ারি যা হচ্ছে, তা হলো নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে ক্ষমতা নবায়ন করে নেওয়ার নির্বাচন।’