রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে এক পাশের রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া ভবনটির আশেপাশে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা। তাদের কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউবা এসেছেন দেখতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা করেও ঘটনাস্থল থেকে তাদের সরাতে পারছে না। সব মিলিয়ে সড়কে যান চলাচলে তৈরি হয়েছে ধীরগতি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্ফোরণস্থলে উদ্ধার কাজ চলছে। সড়কের অন্য দিকের লেন দিয়ে যানবাহন আসা-যাওয়া করছে। এর আশেপাশে মানুষজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বার বার তাদের সরিয়ে দিলেও আবার এসে জড়ো হচ্ছেন। এতে উদ্ধার কাজের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। তাছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকায় আসা মানুষজনও পড়ছে ভোগান্তিতে।
ভিড়ের মধ্যে ছবি তুলতে থাকা সাইফুলের সাথে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। তিনি বলেন, আমি পাশের এলাকাতে থাকি। গতকাল এখানে অনেক বড় একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। বাড়ির কাছে থেকেও আসতে পারিনি। তাই আজকে দেখতে এসেছি— এখানে কী হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মানুষ কেন এখানে ভিড় করছে—বুঝতে পারছি না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। সড়কে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।
ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালকের সহকারী আনিস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গুলিস্তানে রাস্তা প্রায় বন্ধ। আজকে মানুষজন কম। অনেক কষ্টে এই জায়গা পার হতে হচ্ছে। তাই গাড়িও তেমন বের হয় নাই আজ।
সাভার পরিবহনের সুপারভাইজার মনির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গুলিস্তান পার হওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে। একপাশের রাস্তা বন্ধ। সদরঘাট থেকে গাড়ি গুলিস্তান পার হতে হতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। অনেকে নেমে যাচ্ছে। তাছাড়া আজ যাত্রীর সংখ্যাও কম।